সরকারি চাকরির আবেদনে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ফি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি : সংগৃহীত
বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরি এবং ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একই সঙ্গে বিসিএসে প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের অন্যদের মতো নির্ধারিত ফি’র বাইরে বাড়তি কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সিনিয়র সচিব বলেন, বিসিএসে পিএসসিতে আবেদনের ক্ষেত্রে আগে ছিল ৭০০ টাকা, তারা প্রস্তাব করেছেন ৩৫০ টাকা। কিন্তু সচিব কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা হবে ২০০ টাকা। পিএসসিতে ৪৭তম বিসিএসে আবেদন করতে হলে ২০০ টাকা লাগবে। তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় ছিল আমরা মনে করেছিলাম এটা কম কিন্তু এটা কম নয়, যারা প্রতিবন্ধী প্রার্থী তাদের আলাদা একটা ফি ছিল সেটা ১০০ টাকা। এটা কমিয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব এসেছিল। ৫০ টাকা মানে কি- তারা যে টাকা (অন্যদের মতো ফি) দিত সেটার অতিরিক্ত এই টাকা দিত, তাদের জন্য স্পেশাল অ্যারেজমেন্ট। এখন থেকে এই অতিরিক্ত টাকাটাও দেয়া লাগবে না। এটা ফ্ল্যাট রেট ৪৭তম বিসিএস থেকে যেই বিসিএসে আবেদন করবে ২০০ টাকা। আগে প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেয়া হতো। এখন তাদের অন্যদের মতো শুধু ২০০ টাকা ফি দিতে হবে। বিসিএসে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ফি কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান।
সিনিয়র সচিব আরো বলেন, অর্থ বিভাগের মাধ্যমে আরেকটি আদেশ জারি হচ্ছে। সেটি হচ্ছে- ব্যাংক, বিমা, আধা-সরকারি যেটাকে আমরা বলি এক্সটেনশন অব দ্য গভর্নমেন্ট, এমন যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। এখন অনেক ব্যাংক-বিমা এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকাও আবেদন ফি নিয়ে থাকে। চাকরি হয় দুজনের হয়তো ২০০ লোক আবেদন করে, আমি আর হাজারে গেলাম না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব আরো বলেন, সরকারি, আধা-সরকারি বা এক্সটেনশন অব গভর্নমেন্ট বলতে যা বোঝায় ২০০ টাকার বেশি কোনো আবেদন ফি নেয়া হবে না। এই আদেশ অর্থ বিভাগ থেকে জারি হবে। এখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আদেশের অপেক্ষা। তিনি বলেন, আমরা অর্থ বিভাগের চিঠিতে একটি লাইনের অনুরোধ দিয়ে দেব যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও যাতে এই অনুশাসনটা মেনে চলার চেষ্টা করে। মোখলেস উর রহমান বলেন, এই অনুরোধটা আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও জানাতে পারি। সবটা হলো আমাদের জনগণের জন্য। তারাও যে ব্যবসা করে জনগণের জন্য, আমরা যে চাকরি দিই, নেই জনগণের জন্য। প্ল্যাটফর্মটা একই হওয়া উচিত।