মানুষের নিরাপত্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে অব্যাহত পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঠানো এক ই-মেইলে সরকারের নেয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানানোর কথা বলা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোনও ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন (করার স্বাধীনতাকে) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সব অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া বিষয়ে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে (নাগরিকদের) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।
তিনি আরো জানান, আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
লাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তৈরি হওয়ার আলোকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত দু’পক্ষের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাদের একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।
চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর ভারত সরকার বাংলাদেশের হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছিল। আর সেটির জবাবে বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, দিল্লির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা সংক্রান্ত ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অতিরঞ্জিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।