২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে গণভবন থেকে বেরিয়ে যাই : শেখ হাসিনা

এবিপি আনন্দ
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তরিতে আগেই মুখ খুলেছিলেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফের আক্রমণ শানালেন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মহম্মদ ইউনূসকে 'গণহত্যার মূলচক্রী' বলে উল্লেখ করলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ, মন্দির, গির্জায় হামলার ঘটনার জন্যও ইউনূস সরকারকে দায়ি করলেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্কৃতা করেন শেখ হাসিনা। তাতেই ইউনূস সরকারকে ভয়ানক আক্রমণ করেন তিনি। হাসিনার বক্তব্য, আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলছে। আসল কথা হল, সমন্বয়কারী ছাত্রদের সঙ্গে মিলে, পরিকল্পিত ভাবে মহম্মদ ইউনূস গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওরাই মূলচক্রী।
এ প্রসঙ্গে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের নামও নেন শেখ হাসিনা। তার কথায়, লন্ডন থেকে তারেক রহমান পর্যন্ত বলেছেন, এভাবে মৃত্যু ঘটে চললে এই সরকার টিকবে না। অতি সম্প্রতিই গ্রেনেড বিস্ফোরণ মামলায় আদালতে মুক্তি পেয়েছন তারেক রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের তার প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই আবহেই তারেকের নাম নিলেন হাসিনা।
ছাত্র-জনতা আন্দোলন যখন চরমে, সেই সময় ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। সেই নিয়ে সমর্থকদের হাসিনা বলেন, নির্বিচারে যখন মানুষজনকে হত্যা করা হচ্ছিল, আমি দেশছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার ক্ষমতায় থাকার দরকার নেই। নিরাপত্তাকর্মীরা যদি গুলি চালাতেন, গণভবনে অনেকে মারা যেতেন। আমি সেটা চাইনি। হাসিনার দাবি, সশস্ত্র ভিড়কে গণভবনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তাকেও হত্যার ছক ছিল। হাসিনার কথায়, ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে গণভবন থেকে বেরিয়ে যাই আমি। নিরাপত্তাকর্মীদের বলেছিলাম, গুলি না চালাতে।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য, আজ শিক্ষক, পুলিশ সকলকে ধরে ধরে মারা হচ্ছে, তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের নিশানা করা হচ্ছে দেশে। গির্জা, মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের এভাবে নিশানা করা হচ্ছে?
তবে শেখ হাসিনা যখন ড. মুহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ করছেন, সেই সময়ই তার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তারা অভিযোগ করেছে যে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে হাসিনা সরকার ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) পাচার করেছে। ভারতের পাশাপাশি, আমেরিকা, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও টাকা পাচার হয় বলে দাবি করা হয়েছে।