আইজিপির কাছে অভিযোগ
ছাত্র-জনতার মামলার আসামি থানায় গিয়ে মামলা করায় প্রশ্ন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম

প্রতীকী ছবি
ফেনী সদর এলাকার আনোয়ার হোসেন মিলন নামে এক ব্যক্তি ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি তিনি থানায়ও যাচ্ছেন এবং বাদী হয়ে অন্যের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিলন অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছেন বলে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক নারী। জিনাত রিজওয়ানা নামের এই নারী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, আনোয়ার হোসেন মিলন সম্পত্তি আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে বিগত সরকারের সময় ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার মাধ্যমে তাকে ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। একাধিক মামলায় মিলন সাক্ষীও হয়েছেন। পুলিশের তদন্তের সবকটি মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে এবং একটি মামলা দন্ডবিধির ২১১ ধারা করেছে পুলিশ। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ফেনী সদর থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ও ৩ অক্টোবর ছাত্র-জনতাকে মারধর করে আহত করার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে সেই দুই মামলায় মিলন আসামি। মামলার আসামি হয়েও তিনি এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনো ঢাকায় থাকছেন।
আরো পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে ‘কড়া’ বিবৃতি শেখ হাসিনার
সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মিলন ২০২১ সালে মারধরের শিকার হয়েছেন এমন একটি অভিযোগ নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর ফেনী সদর থানায় যান। কোন ধরনের মেডিকেল রিপোর্ট এবং প্রমাণ ছাড়াই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জিনাত রিজওয়ানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ যাচাই-বাছাই না করে মামলা রেকর্ড করে। এরপর সেখান থেকে রিকোজিশন নিয়ে মিলন কিছু পুলিশ নিয়ে ঢাকায় আসেন রিজওয়ানাকে গ্রেপ্তার করাতে এবং তার পাসপোর্টও ব্লক করানো হয়।
রিজওয়ানা আইজিপির কাছে করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মিলন তার ব্যবসা এবং সম্পত্তি দখল করতে অনেকদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছেন কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার প্ররোচনায়। দুটি সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে ধরে না। উল্টো মোটা অংকের টাকায় পুলিশকে ম্যানেজ করে থানায় গিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করেছেন মিলন। তার সঙ্গে পুলিশের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠতা আছে। মোটা অংকের টাকা না দিলে সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং সিরিজ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন মিলন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন মিলনের নেপথ্যে কাজ করছেন উল্লেখ করে জিনাত রিজওয়ানা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঢাকার উত্তরা এলাকার বাসিন্দা রিজওয়ানা তার নিজের, পরিবার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অফিস স্টাফদের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।