আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্তের এখতিয়ার চাইলো মানবাধিকার কমিশন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

এসব প্রস্তাবনা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুেদ্ধ কোনো অভিযোগ এলে তার সরাসরি তদন্ত করতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এমনই কিছু বিষয় যুক্ত করে মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ সংশোধন প্রস্তাব লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর ৬ষ্ঠ কমিশনের ১১১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মানদণ্ড সম্পর্কিত নীতিমালার (প্যারিস নীতিমালা) আলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো ঘটনা তদন্ত ও প্রতিকারের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা/উপধারা সংশোধনের প্রস্তাবনা আনা হয়েছে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসব প্রস্তাবনা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্তের এখতিয়ার প্রাপ্তির লক্ষ্যে আইনের ১৮ ধারা বিলুপ্তি, ৭ (১) ধারাতে কমিশনের চেয়ারপারসন ও কমিশনারদের নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি ৭ সদস্যের স্থলে ৯ সদস্য সমন্বয়ে গঠনের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক এবং সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি যিনি স্পিকার মনোনীত হবেন এমন দুজন সদস্যকেও বাছাই কমিটিতে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরো বলা হয়, কমিশনের সমন জারির পরও যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনে হাজির না হয়, তাহলে ইই ব্যক্তিকে কমিশনের সম্মুখে হাজির করার লক্ষ্যে কমিশন জামিনযোগ্য সাক্ষীর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার ক্ষমতাসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১০৪তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর সংশোধনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সংশোধনী প্রস্তাবসমূহের খসড়া প্রণয়ন করে যা ১ অক্টোবর কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়। কমিশন সভার অনুমোদনক্রমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মঙ্গলবার তা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন : ঢালাও মামলায় অন্তর্বর্তী সরকার বিব্রত: আইন উপদেষ্টা