ড. ইউনূসের মাঝপথে চলে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে? জবাব দিলেন প্রেস সচিব

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম

ড. মুহাম্মদ ইউনূস-শফিকুল আলম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস পূর্ণ হয়েছে।
গত তিন মাসে অনেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা শুনেছেন, অনেকে শোনেনি। এমন অবস্থায় ড. ইউনূসের মাঝপথে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে এমন শঙ্কা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল আলম।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শফিকুল আলম বলেন, আমার মনে হয় উনি (ড. ইউনূস) যেটা চাচ্ছেন, সেই কাজগুলো হচ্ছে। উনি মনে করেন, ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম দেশটাকে মেরামত করার সুযোগ এসেছে। যে রাষ্ট্র গেল ১৫ বছর একজনের হুকুমের ওপর চলেছে—সে রাষ্ট্র যেন সত্যিকার অর্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হয়, মানুষের যে ডিজায়ার (প্রত্যাশা) আছে, সেটার রিফ্লেক্ট হয়। তার যে অ্যাসপিরেশন, সেটার জন্য প্রফেসর ইউনূস কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রথম তিন মাসে আমরা কী কী কাজ করেছি? আমরা ইকোনোমিকে (অর্থনীতি) একটা জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি এবং অনেকটা সফল হয়েছি। আপনি রেমিট্যান্সের অবস্থা দেখেন। রেমিট্যান্স প্রচুর আসছে। আরেকটি বিষয়, রিজার্ভ কিছুটা হলেও বাড়ছে, কিন্তু কমছে না। তারপর প্রফেসর ইউনূস রিফর্মের একটা রোডম্যাপ দিয়েছেন। নির্বাচনের শুধু তারিখ ঘোষণা ছাড়া সবই ঘোষণা দিয়েছেন। সার্চ কমিটি হয়েছে, এই কমিটি একটা নির্বাচন কমিশন করবে। সেখান থেকে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শুরু হবে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
শেষে দেখেন, প্রধান উপদেষ্টা রিফর্মের একটা রোডম্যাপ দিয়েছেন। ছয়টা মেজর রিফর্ম কমিশন করেছেন। এই ছয়টা রিফর্ম দেশ মেরামতের সঙ্গে জড়িত। সেটার জন্যও সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সরকার আবার পলিটিক্যাল পার্টি, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবে। সবার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা জানতে পারব, কী কী রিফর্ম হচ্ছে?
আমরা আশা করি, এই রিফর্মের মাধ্যমে দেশটাকে অনেক ক্ষেত্রে মেরামত করা যাবে। এই মেরামতের উদ্দেশ্য কী? যাতে আপনার ভোট কেউ চুরি করতে না পারে, আপনি যে রাজনৈতিক দলকে নির্বাচিত করতে চান, সেটা যেন করতে পারেন। আপনি যেন আদালতে ন্যায়বিচার পান, পুলিশ যেন জনবান্ধব হয়, আপনাকে যেন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের শিকার হতে না হয়। আর পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন নিয়ে যেন টেনশন না থাকে, ক্ষমতা হস্তান্তর যেন স্মুথলি হয়। আমরা এগুলো অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি।