লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল ২ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সিপিআরডি-এর নেতৃত্বাধীন ৪০টি নাগরিক সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের জোট ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্স-বাংলাদেশ’ এর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘কপ-২৯: নাগরিক সমাজের বক্তব্য ও দাবি’ শীর্ষক পজিশন পেপারটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
পেপারে ২০২৫ সালের মধ্যে লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল বার্ষিক ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ এবং ক্রমান্বয়ে ১ থেকে ২ ট্রিলিয়নে রূপান্তরের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে রাষ্ট্রসমূহকে আপডেটেড এনডিসি-৩ প্রণয়নে স্বচ্ছ এবং সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত প্রণয়নের দাবি করা হয়েছে।
অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সকল দেশের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধে একটি নির্ধারিত সময়সীমা (ফেজ-আউট টাইমলাইন) নির্ধারণের দাবি করা হয়েছে। এছাড়া জাস্ট ট্রানজিশনের ব্যবস্থাপনা নীতিমালা (ম্যানেজমেন্ট পলিসি) এবং স্বচ্ছ সংজ্ঞায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
অ্যালায়েন্সের সমন্বয়কারী এবং সিপিআরডি-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, আমরা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং সমঝোতা সম্মেলনের বিভিন্ন চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে বাস্তবায়নযোগ্য সিদ্ধান্ত চাই। তিনি বৈশ্বিক লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের স্থলে প্রয়োজন ভিত্তিক এবং ক্ষয়ক্ষতির আলোকে নতুন বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রার দাবি করেন।
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তালহা জামাল বলেন, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সিপিআরডির নেতৃত্বে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্স-বাংলাদেশ’ সেই দায়িত্বশীল ভূমিকাটিই পালন করছে।
তিনি আরো বলেন, অ্যালায়েন্সের অবস্থানপত্রটির মাধ্যমে আপনারা যে দাবি এবং প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন করেছেন সেগুলোকে আমি সমর্থন করি। বিভিন্ন পক্ষ হতে যে প্রস্তাবনাগুলো এসেছে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বহু জাতিক এবং বহু পাক্ষিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জলবায়ু বিপদাপন্ন মানুষ এবং দেশের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ধরা এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটার কিপার এলাইয়েন্স এর কেন্দ্রিয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য শরীফ জামিল; ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান; সিসিডিবি এর নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার; বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. সাইফুল ইসলাম; এসডিএস এর নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম; হেলভেটাস বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ভার্মা।
অনুষ্ঠানে পজিশন পেপার তৈরি করণ প্রক্রিয়ার উপর একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন- ওয়াটার এইড এর জলবায়ু ও জল শাসন বিশেষজ্ঞ আদনান ইবনে আদবুল কাদের। নাগরিক সমাজের পজিশন পেপার নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন সিপিআরডি এর অ্যাসিস্ট ম্যানেজার শেখ নুর আতায়া রাব্বি।