মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ কেন?

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে যাত্রীদের ব্যবহার করতে হয় বিশেষায়িত কার্ড। এক্ষেত্রে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) সাময়িকভাবে এই সেবা বন্ধ করে পরিবহনটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। পাশাপাশি নষ্ট কার্ডগুলো নবায়নও বন্ধ ঘোষণা করে তারা।
ওই দিন সন্ধ্যায় ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। তবে ঠিক কী কারণে সেবা বন্ধ থাকবে তা স্পষ্টভাবে জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, মেট্রোরেলের এমআরটি পাস ইস্যু ও রি-ইস্যুর কাজটি করা হয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সার্ভারে। এটি অনেক পুরনো সার্ভার। বর্তমানে তারা সার্ভারে কাজ করায় সাময়িকভাবে এই সেবা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিটিসিএর নিয়ন্ত্রণে ডিমটিসিএলের একটি ক্লিয়ারিং হাউস আছে। আর এমআরটি পাস শুধু মেট্রোরেল নয়, অন্য ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। তবে ক্লিয়ারিং হাউসের সার্ভারটি ১৪ বছরের পুরনো। বর্তমানে এটিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ক্লাউডে নেয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য ডিটিসিএ সব মিলিয়ে ৭ দিন সময় চেয়েছে। তবে মাইগ্রেশনের কাজ একদিনেই হয়ে গেছে। আশা করছি, রবিবারের মধ্যেই (৩ নভেম্বর) এমআরটি কার্ড ইস্যু ও রি-ইস্যু চালু হয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। আর শুধু শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে মেট্রোরেল।
বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। যাত্রী চাহিদার শীর্ষে থাকা এই পরিবহনে ভ্রমণ করতে যাত্রীদের ব্যবহার করতে হয় বিশেষায়িত কার্ড। তিনটি কার্ডের মধ্যে একক যাত্রার কার্ড ও ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস কার্ড মেট্রোরেলের নিজস্ব। এছাড়া ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) র্যাপিড পাস কার্ড ব্যবহার করেও মেট্রোরেলে ভ্রমণ করা যায়।