জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার: পরিবেশ উপদেষ্টা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং তাই আমাদের এই ব্যবহার কমাতে হবে। বাংলাদেশে অনেক ধরনের পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আসন্ন কপ ২৯-এর সংবাদ গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত মেন্টরিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। জলবায়ু সম্মেলন কাভার করতে ইচ্ছুক এবং অংশগ্রহণ করবেন এমন সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নের এবং জলবায়ু সম্মলনে সংবাদ সংগ্রহের বিভিন্ন কলাকৌশল সম্পর্কে জানতে উক্ত মেনটরিং প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। উক্ত অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সুইডেন দূতাবাস, বাংলাদেশ এর ফার্স্ট সেক্রেটারি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডেপুটি হেড, ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন সেকশন এর নাইওকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ।
উক্ত অনুষ্ঠানে মেন্টর হিসেবে ছিলেন-একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মো. হাবিবুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো এর বিশেষ প্রতিবেদক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, এটিএন বাংলার কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর এবং সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, একাত্তর টিভির সুশান্ত কে সিনহা, ইউএনবি এর সাংবাদিক মাসুদুল হক, এখন টিভির অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক ইনচার্জ মোঃ মাহমুদ রাকিব, টিবিএস এর ব্যুরো চিফ সামসুদ্দিন ইলিয়াস, এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিক ফোরাম (বিসিজেএফ) এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন।
প্রধান অতিথি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভিডিও বার্তায় বলেন, বাংলাদেশে অনেক ধরনের পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং তাই আমাদের এই ব্যবহার কমাতে হবে। উন্নয়নের মডেল গুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং দূষণ রোধে সবাই মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা আমাদের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের এই সম্মেলনগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং দক্ষতার সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের এবং আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিতে থাকা জনগণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করাই আমাদের দায়িত্ব।
গেস্ট অব অনার এর বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে সাধারণত পাঁচটি পৃথক সেশন একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি সেশনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কপের ইভেন্টগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে সবার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তিনি আরো বলেন COP, CMP, CMA, SBSTA —এই সকল সম্মেলন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা সেই সহযোগিতা যথাযথভাবে প্রদান করেনি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে আমাদের রেসপন্স মেকানিজমকে উন্নত করতে হবে। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরাসরি ও পরোক্ষ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত এজেন্ডাগুলোর উপর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে এবং একটি কার্যকর লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ বলেন, কপে যে ইভেন্টে আমরা যাচ্ছি, তা পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের মূল বিষয়গুলো জানা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সকলের কাছে তুলে ধরাই সাংবাদিকদের প্রধান কাজ। এজন্য জ্ঞান আহরণ করা, বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা, রোডম্যাপ তৈরি করা এবং আলোচনার জায়গাগুলো ভালোভাবে বোঝা প্রয়োজন। কপে ইভেন্টগুলোর তথ্য সংগ্রহ করার পর পুনরায় নিরীক্ষণ করা এবং পূর্ববর্তী সংবাদগুলোর সাথে তুলনা করে সংবাদ প্রচার করা গেলে এইবারের (কপ২৯) অর্জনগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাস, বাংলাদেশ এর ফার্স্ট সেক্রেটারি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডেপুটি হেড, ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন সেকশনের নাইওকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম তিনি এই শিক্ষণীয় মেন্টরিং প্রোগ্রামটিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন বিষয়টি খুবই জটিল। কপ ২৯ কাভারে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জলবায়ু সমস্যাকে স্বতন্ত্র সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একসাথে কাজ করতে হবে।
ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, উন্নত শহরগুলো যারা বর্তমানে পরিবেশ বিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিলো। এই দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশ দূষণ গুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি’।
তিনি আরো বলেন ‘বায়ু দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন একই মুদ্রার দুটো পিঠ, স্থানীয় পর্যায়ে বায়ু দূষণ সমস্যার সমাধান সহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জলবায়ু সম্মেলনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে পারে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া।
অ্যাকশন এইডের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশনের ম্যানেজার মোঃ আবুল কালাম আজাদ তার মূলপ্রবন্ধে বলেন, আমরা চাইলেই শতভাগ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে পারি। বায়ো এনার্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে এনার্জি ট্রানজিশন মডেল তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা সফলতার সহিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সক্ষম হব। আমাদেরকে নতুন করে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডের উত্থাপন করে উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ সংগ্রহ করতে হবে। পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবেই আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে হবে।
সিপিআরডি এর প্রধান নির্বাহী মোঃ শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বললে প্রথমে মাথায় আসে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে, অনিয়মিত, অসময়ে বৃষ্টিপাত, গ্রীনহাউজ গ্যাসের জন্য তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যত বেশি গ্রীনহাউজ গ্যাস হবে ততবেশি তাপমাত্রা বাড়বে। আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রীনহাউজ গ্যাস বাড়ছে। সেই শিল্পবিপ্লব থেকেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ বসবাসের জন্য গাছপালা কাটছে যার জন্য গ্রীনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের উপায় রয়েছে কয়েকটা সেগুলা হলো, নবায়নযোগ্য শক্তি এর দিকে যাওয়া, টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা, সেটার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো এবং বাস্তবায়ন শুরু করা, গ্রীন ইকোনমির এর দিকে যাওয়া এবং নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ প্রয়োগ করা।
আইসিসিসিএডি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব হক বলেন, বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন বাড়ছে। আমাদেরকে অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুলোকে নথিভুক্ত করে কপের পার্টনারদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে।
সিসিজেবি'র পরিচালক এম. হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, ক্লাইমেট জাস্টিস নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। কপ ২৯ এর জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রয়োজন। আমাদেরকে আমাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিক ও পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন রোধ করতে দূষণকারীদের জন্য ভর্তুকি নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, আমরা জলবায়ু সুবিচার চাই। আমাদেরকে বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা করতে হবে। জেন্ডার অ্যাকশন কে প্রচার করতে হবে এবং জবাবদিহিতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, বিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নারীদের মধ্যে কম বয়সে বার্ধক্য দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে এবং যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, পরিবেশ দূষণের দায় আমাদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের উপর বর্তায়। নদী দখল এবং ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা কি সমস্যার অংশ হবো, নাকি সমাধানের। এই ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা আমাদের পথ দেখাতে পারেন, কারণ তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মানবিক ভূমিকা পালন করেন। তাই কপ ২৯ সম্মেলনে সাহসের সাথে দাবিগুলো উত্থাপন করতে হবে যাতে পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগোনো যায় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হয়।
মেন্টরিং প্রোগ্রাম শেষাংশে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের সনদ প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সহযোগী আয়োজক হিসেবে একশন এইড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস দেরনলেজ (বারসিক), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (সিথ্রিইআর), চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ), ক্লাইমেট এমভিশন সাপোর্ট এলায়েন্স, সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইকো নেটওয়ার্ক, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি), জেটনেট বিডি, লিডার্স, লিগ্যাল বি, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (ন্যাকম), ওসিএল, পরিবেশ উদ্যোগ, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (এসএসিসিজেএফ), এসআরসি এল, ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট), ইয়ুথনেট গ্লোবাল।