২০২৫ সালে সরকারি খরচে কাউকে হজে পাঠানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই সরকারি অর্থে হজে যেতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালে পবিত্র হজ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম চালু থাকবে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের হজ-১ অধিশাখা থেকে জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২৫ সালে হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি, হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্য চলতি বছরের ২৫ আগস্ট জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। এই সময়ের মধ্যে পবিত্র হজে গমনেচ্ছুক প্রাক্‌-নিবন্ধিত সবাইকে ৩ লাখ টাকা করে ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন: যুগ্মসচিব পর্যায়ে ৭ পদে রদবদল

অন্যদিকে হজের টাকা ফেরত দেয়ার নামে প্রতারণা থেকে বাঁচতে সম্প্রতি হজযাত্রী ও হাজিদের সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত ২০ অক্টোবর এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণির প্রতারকচক্র টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে হজযাত্রী, হাজি, হজ এজেন্সির মালিক বা প্রতিনিধি ও হজ গাইডদের ফোন করে তাদের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ ইত্যাদির তথ্য চাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হাজি, হজ এজেন্সি ও হজ গাইডদের অর্থ (রিফান্ড) সরাসরি ব্যাংক হিসাব বা চেকের মাধ্যমে দেয়া হয়। এ জন্য কোনো ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও নগদের তথ্য চাওয়া হয় না। গত ৯ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

এছাড়া প্রতারকচক্র ফোন করে টাকা ফেরতের কথা বলে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও নগদের তথ্য চাইলে তা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ধরনের ফোন এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করতেও পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।