যেভাবে টিকে গেলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখেও আপাতত টিকে গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। দেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি ওঠার পর থেকে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অপসারণের চাপ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যে আপাতত বঙ্গভবন ছাড়তে হচ্ছে না রাষ্ট্রপতিকে। যদিও তাকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এখনো প্রশমন হয়নি।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধির দল। পরে জানান, এই মুহূর্তে তারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চান না। নতুন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টির বিপক্ষে’ দলীয় অবস্থানের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানায় বিএনপি।
তবে শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিএনপির অবস্থান প্রত্যাখ্যান করে পাঁচ দফা দাবি পুর্নব্যক্ত করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিন কত সময় টিকতে পারবেন তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফেরার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আবারো আলোচনা হতে পারে। সেখান থেকে আসতে পারে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত।
সূত্র জানায়, এখন রাষ্ট্রপতিকে সরাতে গেলে সাংবিধানিক ও আইনি কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে এবং জনসমর্থন থাকলে তাকে সরানোও যেতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা বা না–থাকার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। সর্বশেষ আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করে তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে তার কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। উনি হয়তো সময় পাননি।
মানবজমিনের সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান তিনি। এরপরই শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে ওই মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ওঠে।