ড. ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: যেসব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলো

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ঢাকা এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। উভয় দেশকে সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো উচিত।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে ড. ইউনূস অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় দেশকে আরো জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস ও রামিস সেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং শিক্ষার্থী বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় মানবিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্য তুরস্কের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশটির একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদলের সফরের কথা উল্লেখ করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস। গত বছর তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ১০ হাজার তাঁবু পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, আসন্ন ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট এবং ইস্তাম্বুলে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি সম্মেলনে যোগদানের জন্য তুরস্ক বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দেশটির একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। যারা মূলত নতুন ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।
রামিস সেন বলেন, আমরা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চাই। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যার সময় তুরস্কের আরেকটি দল সফর করেছে। তারা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় বন্যার্তদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বর্তমানে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে উভয় দেশ থেকে রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করার প্রয়োজন রয়েছে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী এই বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করবেন।