ইলিশের দাম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ জানা গেলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম

ইলিশ মাছ। ছবি: সংগৃহীত
ইলিশের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুর জেলা। পদ্মা-মেঘনার মিঠা পানির রুপালি ইলিশ সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায়। তবে ইলিশ আহরণ থেকে বাজারে পৌঁছাতে একাধিক হাতবদলের ফলে এর দাম বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইলিশের মূল দাম বাড়ানোর প্রধান কারণ হিসেবে ফড়িয়া, আড়তদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানান, নদীর দূষণ, ডুবোচর, কারেন্টজাল ব্যবহার, বালু উত্তোলন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। এসবের ফলে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইলিশের সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বর্তমানে চাঁদপুরে এক কেজি ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা। ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং আধা কেজির ইলিশ ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জাটকা (২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম) ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলে ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইলিশের বাজার এখন দাদন ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের হাতে জিম্মি। ঘাট থেকে শুরু করে সারা দেশের বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন যদি ঘাট ও জেলেদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে ইলিশের বর্তমান বাজারমূল্যের অর্ধেক দামে মাছ বিক্রি করা সম্ভব।
চাঁদপুরের হরিণার জেলে তাফাজ্জল গাজী জানান, তাদের ট্রলারে ৮ জন জেলে এবং একজন মাঝি মিলে নোয়াখালী হাতিয়া ও সন্দ্বীপে ইলিশ ধরেন। এতে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ১.৫ লাখ টাকার ইলিশ ধরেন। তবে লাভের বড় অংশ ট্রলার মালিকের হাতে চলে যায়।
বহরিয়ার জেলে বারেক দর্জি বলেন, ‘নদী বা সমুদ্র থেকে ইলিশ ধরার পর জেলে বা ট্রলার মালিক ইচ্ছা করলেও সরাসরি বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারেন না। মাছ চলে যায় মহাজনের কাছে, এবং একাধিক হাতবদলের মাধ্যমে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।’
আরো পড়ুন: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান
ফড়িয়া, আড়তদার ও মহাজনদের হাতবদল এবং তাদের লাভের হার (১০ থেকে ১৫ শতাংশ) বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ইলিশের দাম ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ইলিশ ক্রেতাদের জন্য ক্রমশ আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।