বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন
পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বাংলাদেশ কমিটির ৭৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগ্রাম দিবসের সমাবেশে নেতারা বলেছেন, পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকরা শোষিত এবং নিপীড়িত। শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন তাই মর্যাদাপূর্ণ কাজ ও বাঁচার পরিবেশ তৈরির লড়াইয়ে বিশ্বের সব শ্রমিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ৭৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। ফেডারেশন বাংলাদেশ কমিটির সমন্বয়ক রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব আলম, সাইফুজ্জামান বাদশা, বাদল খান, কামরুল আহসান, নোমানুজ্জামান আল আজাদ প্রমুখ।
নেতারা বলেন, জীবন মান বাড়ানোর ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র সামান্য কিছু মজুরি বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই যৌক্তিক মজুরি বাড়ানো, স্থায়ী কাজ ও শ্রম অধিকার, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা, মানসম্পন্ন কাজ ও বাঁচার পরিবেশ নিশ্চিত করা এই সময়ের প্রধান দাবি।
আরো পড়ুন: ডিসি নিয়োগে ব্যাপক ঘুষ, তদন্তে কমিটি গঠন
ফেডারেশনের নেতারা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী ও পাওনা নিয়ে তালবাহানা করা মালিকদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ঝুট, টিফিন ও অন্যান্য ব্যবসা নিয়ে শিল্পাঞ্চল অশান্ত করার জন্য দায়ীদের শাস্তিসহ শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধান দাবি ছিল বৈষম্যের অবসান। এই আন্দোলনে শত শত শ্রমিক জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। বৈষম্য ও দমনপীড়নের শিকার শ্রমজীবী মানুষ মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় রাজপথে নেমে এসেছিল। নেতারা বলেন, মজুরি বৈষম্য বজায় রেখে ও শ্রমিকদেরকে অধিকার বঞ্চিত রেখে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা যাবে না। ন্যায্য মজুরী, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তাসহ শ্রমিকদের উত্থাপিত ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশ থেকে সারা পৃথিবীর লড়াকু শ্রমিকদের আন্দোলন ও দাবির প্রতি সংহতি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর সড়ক প্রদক্ষিণ করে।