সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরাতে আবেদন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান অভিযোগ করে বলেন, এ হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। হত্যা রহস্য উদঘাটনে আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে।
সাগর-রুনি হত্যার পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এ হত্যা রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি কোনো সংস্থাই। পুলিশ, সিআইডির একের পর এক হাতঘুরে মামলার তদন্তভার র্যারের কাছে গেলেও নেই কোনো অগ্রগতি। ১১৩ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান। নিয়োগ দিয়েছেন আইনজীবীও। নতুন নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী শিশির মনির জানান, আন্তরিকভাবে কাজ করলে এতদিনে বের হয়ে আসতো হত্যা রহস্য। তদন্তভার পিবিআইকে দিতে আদালতে আবেদন করা হবে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসা থেকে সাগ-রুনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সবশেষ তদন্তে বাসা থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ডিএনএ আলামত মিললেও শনাক্ত করা যায়নি খুনিদের।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে ৫ বছর বয়সী মাহির সারোয়ার মেঘ সে সময় বাসায় ছিল। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।
শুরুতে মামলাটি তদন্তের তদন্তের দায়িত্ব পায় শেরেবাংলা নগর থানা। তিনদিন পর তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল সেটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উন্মোচন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে; কিন্তু এক যুগেও সে রহস্য উন্মোচন আলোর মুখ দেখেনি।