সাভারে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক দম্পতি গ্রেপ্তার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সাভারে হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকারী মাসুদ ও তার স্ত্রী প্রিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- তেঁতুলঝোড়া হরিণধরা এলাকার মাসুদ (২৮) ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তার প্রিয়া (২০)।
পুলিশ জানায়, রিপন কাজী সরদার (৩৮) হরিণধরা এলাকায় সুমনের বাড়িতে স্ত্রী মোছা. লাইজু (২০) সহ ভাড়া থাকতেন। রিপন হরিণধরা বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে কাজ করতেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল চারটার দিকে রিপন বাসা থেকে তার দোকানের উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন রাত বারটার দিকে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে মাসুদের বাসায় যাবেন বলে জানান। এর কয়েক ঘণ্টা পর রিপনের মোবাইলে ফোনে তার স্ত্রী কল করলে বন্ধ পান। এর পর লাইজু লোকজন নিয়ে মাসুদের বাসায় গেলে তিনি সন্দেহজনক আচরণ করে কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর বাড়ির মালিক স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে রিপন কাজী সরদার (৩৮) কে জবাই ও বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
আরো পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের বাবা মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৬২) বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের তত্ত্বাবধানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবিরের তদারকিতে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিক ইকবাল, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. জহুরুল ইসলামসহ একটি বিশেষ টিম গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হেমায়েতপুর এলাকা থেকে মাসুদ (২৮) ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তার প্রিয়াকে (২০) আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রিপনকে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।