যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে নারী মৈত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বাংলাদেশ অন্যতম যক্ষ্মা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বিশ্বের ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি লাখে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন, যা বিশ্বে ৩.৬%। মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ২৪ জন।
মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে প্রয়োজন জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সেই প্রেক্ষাপটে যক্ষ্মা, সম্প্রদায় অধিকার ও লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত তথ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারে গণমাধ্যমকর্মীদের সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার দৈনিক ইত্তেফাক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন বিশিষ্ট সাংবাদিকের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চ্যালেঞ্জ ফ্যাসিলিটি ফর সিভিল সোসাইটির (রাউন্ড ১২) সঙ্গে অংশীদারিত্বে এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপ ও জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সহায়তায় এ বৈঠক আয়োজন করা হয়।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডা. ফারজানা জামান, বিভাগীয় টিবি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা বিভাগ, এনটিপি, ডিজিএইচএস; মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাবেক সমন্বয়ক এবং অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান এবং সহযোগী অধ্যাপক আরিফ-উজ-জামান খান।
আরো পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান
আলোচনা সভার মূল লক্ষ্য হলো যক্ষ্মার (টিবি) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা শক্তিশালী করা। পাশাপাশি কমিউনিটি অধিকার ও লিঙ্গ (সিআরজি) সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং টিবি সংক্রান্ত মৃত্যু ও সংক্রমণ হ্রাসের সমাধান প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি বলেন, “বাংলাদেশে ৮০% যক্ষ্মা টিবি কেসই হল পালমোনারি টিবি। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৩ সাল থেকে ডট কার্যক্রমের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবানু প্রতিরোধের জন্য সামগ্রিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং বর্তমানে এই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যমন্ডিত প্রোগ্রাম হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। যক্ষ্মা শুধু বড়দের না বাচ্চাদের মধ্যেও এটি সংক্রামিত হয়। প্রতিবছর আনুমানিক ১০.৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা এই যক্ষ্মার জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়; এর মধ্যে ৫.৮ মিলিয়ন পুরুষ, ৩.৫ মিলিয়ন মহিলা এবং ১.৩ মিলিয়ন শিশু। বড়দের পাশাপশি শিশুদেরও যক্ষ্মার জীবানু দ্বারা সংক্রমনের হার ক্রমাগত বাড়ছে।’’
এছাড়াও তিনি এই স্টপ টিবি পার্টনারশীপ প্রোগ্রামের কর্মসূচীগুলো তুলে ধরেন এবং প্রতিটি মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রচারের জন্য গনমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।