প্রতারণা করাই যেন খায়রুল মজিদের পেশা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম

সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে ছোট ভাই খায়রুল মজিদ মাহমুদ চন্দন।
খায়রুল মজিদ মাহমুদ চন্দন। প্রতারণা করাই যেন তার পেশা। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন তার বড় ভাই। খায়রুল মজিদ মাহমুদ তার ভাই নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে শিল্পমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। খায়রুল মজিদ মাহমুদ চন্দনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে। কমিশন বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, প্রমোশন বাণিজ্য, ঋণ বাণিজ্য এবং সরকারি শিল্প কারখানা বিক্রি করে বিদেশিদের কাছ থেকে বিনিয়োগ বাণিজ্যসহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খায়রুল মজিদ নিজস্ব বিনিয়োগে কোনো কিছু না করলেও ঢাকা ক্লাবের সভাপতির পদ ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।
খায়রুল মজিদ বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাংক ঋণ বা বড় বিনিয়োগ করিয়ে দেবেন এবং সেই বিনিয়োগ পেতে তাকে আগে শেয়ার হোল্ডার করতে হবে বলে প্রকল্পে প্রবেশ করেন। কিন্তু পরে কোন বিনিয়োগ না করে শেয়ারের আনুপাতিকহারে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে স্বেচ্ছায় শেয়ার বিক্রি করে চলে যান। তিনি সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে কোথাও যেতে হলে শিল্পমন্ত্রীর গানম্যানকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। মন্ত্রীর এপিএসকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াকিটকিতে কথা বলে নিজের গুরুত্ব বোঝাতেন। এভাবে নানানভাবে প্রতারণা করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন।
খায়রুল মজিদ আমেরিকার পাসপোর্টধারী হয়েও নির্বাচন ছাড়াই এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বিগত নির্বাচনের সময় নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খায়রুল মজিদ চন্দন বলেছিলেন, মনোহরদীতে নৌকার বিরুদ্ধে কাউকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল এবং এখনো সেসব ভিডিও নিয়ে মানুষ সমালোচনা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ছিলেন খায়রুল মজিদ। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পর যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। খায়রুল মজিদ মাহমুদ চন্দন ২০০১ সালে মনোহরদী বেলাবরের আসন থেকে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে মাত্র ৮ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়েছিলেন। যেখানে বিএনপির সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল পেয়েছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৭১৪ ভোট।
খায়রুল মজিদ মনে করেন ঢাকা ক্লাবের সভাপতি পদ মানে একডজন মন্ত্রীর থেকে বেশি ক্ষমতাধর। ঢাকা ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য পুলিশ প্রধান, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন বিভাগের বিচারপতিদের, বিভিন্ন কোর্টের বিচারকদের, প্রশাসনের সচিব, সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী সবাই ঢাকা ক্লাবের সদস্য হতে পারলে নিজেকে গর্বিত মনে করেন। তার আচরণে মনে হতো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যেমন মন্ত্রী পরিষদ থাকে, প্রশাসন থাকে, ঠিক তেমনি একটি প্যারালাল সরকার হচ্ছে ঢাকা ক্লাব। যেখানে সভাপতির অধীনে সব সদস্য সে হোক মন্ত্রী, হোক প্রতিমন্ত্রী, হোক সচিব কিংবা এসপি, ডিসি, ওসি। এরকম ধারণা থেকেই খায়রুল মজিদ তার বড় ভাই সাবেক শিল্পমন্ত্রীর পরিচয় এবং ঢাকা ক্লাবের সভাপতি পদ বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা ক্লাবে বসে তিনি কমিশন বাণিজ্য করতেন। ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার জন্য কমিশন নিতেন। বিভিন্ন ওসি, এসপি, ডিসি বদলি করার জন্য কোটি কোটি টাকার বদলি বাণিজ্য করতেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ করার নামে সুদ কমিশন বাণিজ্য করতেন। বিদেশিদের দেশে এনে শিল্পমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নামে বিনিয়োগ বাণিজ্য করতেন। সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের নাম ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ শত শত কোটি টাকা অগ্রিম কমিশন বাণিজ্য করেছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, খায়রুল মজিদ কল্ডওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর রোডের ৫৪ নম্বর প্লটে অবস্থিত বাণিজ্যিক ভবনটির মালিক দাবি করা খায়রুল মজিদ আসলে এই ভবনটির প্রকৃত মালিক নন। জমিটি ছিল তার শ্বশুরের। বাবার কাছ থেকে পাওয়া কন্যা হিসেবে জমিটির উপরে ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্বাস করে স্বামী খায়রুল মজিদকে ভবন তৈরির জন্য ৪০ এবং ৬০ শতাংশ ভাগের চুক্তিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি পান। আদরের কন্যার জামাই হিসেবে শ্বশুরের সঙ্গে জামাইয়ের কোন প্রকার লিখিত চুক্তি ছিল না। কিন্তু জমির কাগজ কখনই খায়রুল মজিদের নামে ছিল না, এখনো নেই। অথচ খায়রুল মজিদ নিজেকে ওই ভবনটির মালিক হিসেবে সর্বোচ্চ পরিচয় দিয়ে আসছেন।
ঢাকার খুব গুরুত্বপূর্ণ বনানীর ১১ নম্বর সড়কের এই ভবনটিতে সন্ধ্যা হলেই চতুর্থ তালায় চলতো জুয়া ও মদের আসর। খায়রুল মজিদের জুয়া ও মদের আসরে যেত দেশের উঁচু শ্রেণীর ও নামীদামী ব্যক্তিরা। এসব লোকদেরকে এখানে এনে খায়রুল মজিদ বিভিন্ন ব্যবসায়ের কথা বলে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিতেন। টাকা নেয়ার সময় বলতেন, আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না। ১১ নম্বর রোডের এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন আমার নামে আছে। যদি ব্যবসায় লস হয় আমি তোমাদেরকে এই ভবনের যেকোনো একটি ফ্লোর বিক্রি করে টাকা দিয়ে দিব। এভাবেই খায়রুল মজিদ অনেক ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিতেন কিন্তু কখনোই টাকা পরিশোধ করতেন না।
তারা টাকা চাইতেই খায়রুল মজিদ বলতেন আমার ভাই এখনো শিল্পমন্ত্রী, আমি আওয়ামী লীগের একটি গুরুত্ব পদে ছিলাম। আমার বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ঢাকা বারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। আমার ছোট ভাই কিরণ আওয়ামী লীগের বড় নেতা আমির হোসেন আমুর ছোট ভায়রা। বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে আমাদের ওঠাবসা। শেখ পরিবারের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তা। যে কোন ব্যাপারে যেকোনো জায়গায় আমি তোমাদেরকে কাজ করে এই টাকা উসুল করে দেব। এভাবে তিনি মানুষকে বিভিন্ন মোহে এবং আশায় টাকা না দিয়েও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেন।
ঢাকা ক্লাবের যত সভাপতি ইতিমধ্যে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সবাই সমাজের উঁচু শ্রেণির এবং উজাড় করা উদার ব্যক্তিত্ব ছিলেন। নিজেদের টাকা-পয়সা দিয়ে ঢাকা ক্লাবের বিভিন্ন ধরনের ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখেছেন। ঢাকা ক্লাবের নাম বা পদ ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে বিভিন্নভাবে কমিশন বাণিজ্য করে নিজেকে কলঙ্কিত করেছেন। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব স্যামসান এইচ চৌধুরী সেখানে নিজের টাকায় একটি ভবন তৈরি করেছেন। খায়রুল মজিদ নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করে এমপি এবং মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু তার আমেরিকার দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার কারণে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। তিনি নিজের ভাইকে জিতিয়ে এনে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে নৌকার বাইরে কোন লোককে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না হুমকি দিয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছিলেন। এলাকায় কথিত আছে ওই নির্বাচনে ঢাকা থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীকে নিয়ে তিনি ভোট বাক্স ভরাট করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং সফল হয়েছেন। যার কারণে তার ভাই ভোট কেটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
বৈষম্যবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত তার ভবনটিতে রাতের আঁধারে একাধিক গাড়িতে করে শত শত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পার্কিং এবং চতুর্থ তলা পরিপূর্ণ করে রাখেন। ঢাকা শহরের গুলশান বনানী বারিধারা নতুন বাজার বিশ্বরোডের মোড় মহাখালী সব এলাকাতে তার এখান থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হতো এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়মিত খরচ সরবরাহ করতেন তিনি। তার আশঙ্কা ছিল যদি সরকার পতন হয় তাহলে তাদের সাম্রাজ্যের পতন হবে। তার ক্ষমতার পতন হবে এবং তারা এ দেশে টিকতে পারবেন না। যে ধারণা ওবায়দুল কাদের একবার বক্তব্য বলেছিলেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারলে কেউ বাঁচবো না।
খায়রুল মজিদ এখানে অস্ত্র প্রস্তুত করে রাখে। খায়রুল মজিদের বসবাস ছিল উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে। তিনি যখন দেখলেন উত্তরা ছাত্রদের পরবর্তী লক্ষ্য গণভবন। ঠিক তখনই তিনি উত্তরা চার নম্বর সেক্টরের তিন নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাসায় অস্ত্র জমা করেন। তখনকার সময়ে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা, এমপি, মন্ত্রী তারা ন্যায় অন্যায় যাই করেছেন প্রশাসন তাদেরকে সাপোর্ট করেছেন। খায়রুল মজিদও তাদের সহযোগিতায় বনানী ও উত্তরায় অবৈধ অস্ত্র দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালাতে নির্দেশনা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পরে খায়রুল মজিদ কিছুদিন এলাকায় গিয়ে গা ঢাকা দেন। তিনি অনেক জায়গায় বলতে থাকেন নরসিংদীর বিএনপির নেতা খায়রুল কবির খোকন তার মামাতো ভাই। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বেয়াই। এমনকি সেনাবাহিনীর অনেক মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং কর্নেলের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তিনি প্রচার করেন, বিএনপির অনেক নেতাই ঢাকা ক্লাবের সদস্য এবং তিনি সভাপতি থাকাকালীন তাদের সঙ্গে সকলের সুসম্পর্ক ছিল। এখন তারা তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে এমনকি তার কোন অনুরোধ তারা উপেক্ষা করতে পারবে না। সরকার পতনের কিছুদিন পরে তিনি গা ঢাকা দিয়ে নরসিংদীর গ্রামের বাড়িতে থাকলেও পরিশেষে ঢাকায় চলে আসেন।
পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে ঢাকা ক্লাবে আসা-যাওয়া করতে থাকেন এবং তার কোন ক্ষতি হবে না এমনটা মনে করে তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা অব্যাহত রাখেন। কেউ এখানের খবর পেলে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি বনানী ১১ নম্বর সড়কের ভবনে অস্ত্র সরবরাহ কাজে ব্যবহার করতেন। তাই তিনি এখন পর্যন্ত অফিসটির কার্যক্রম শুরু করেননি। তার শ্যালিকা, ভাই তার এলাকার যত কর্মকর্তা রয়েছেন সবাইকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র-আন্দোলনের সময় অস্ত্রের যোগান দেয়া এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার নামে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন থানায় তিনটি অস্ত্র ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরে গোপনে দেশ ছাড়েন খায়রুল মজিদ। গত ৩০ আগস্ট তিনি আমেরিকার পাসপোর্ট ব্যবহার করে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ৭ লাখ টাকায় ফার্স্ট ক্লাস কেবিনে টিকিট কেটে দেশত্যাগ করেন।
খায়রুল মজিদ এতই চালাক এবং চতুর যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করার আগে কাউকে বলেন নি। এমনকি পরেও তিনি বিভিন্ন পরিচিত মহলে এবং নিজেও বিভিন্ন জায়গায় মেসেজ দিয়ে জানানোর চেষ্টা করছেন যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেননি, তিনি বিদেশে যাননি, তিনি পালিয়ে কোথাও থাকবেন না, তিনি কোথাও পালাবেন না। মূলত তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি রোমিং করা এবং বিদেশে অবস্থান করলেও তিনি সেখান থেকে ম্যাসেজ দেখতে পান, কল রিসিভ করতে পারেন, কল করতে পারেন এবং তিনি নিয়মিত এই একই নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপও ব্যবহার করছেন। তাই অনেকেই বিভ্রান্তিতে আছেন যে, উনি হয়তো দেশে আছেন। তিনি মূলত মানুষকে বোকা বানিয়ে এখনো বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি নেতাদের সুদৃষ্টি এবং সহানুভূতি এনে দেবার কথা বলে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে খায়রুল মজিদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একাধিকভার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরো পড়ুন