এই সরকার কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গ্রুপকে প্রমোট করবে না: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এই সরকার কোনো
নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গ্রুপকে প্রমোট
করবে না। এখন থেকে সবার জন্য প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত থাকবে।
বুধবার (৪
সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড
ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আশরাফ
আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, সামিটের এফএসআরইউ গত তিন মাস যাবত
বন্ধ। বিধায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
প্রতিনিধি
দলের সদস্যরা ফাওজুল কবির খানকে নতুন দায়িত্বের জন্য স্বাগত জানিয়ে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা কারখানায় জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সাপ্লাই
পাচ্ছেন না। ফলে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ সময় তারা
নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান।
বিদ্যুৎ
ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১৫ তারিখ থেকে
এটি চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য খাতেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাসের জন্য চালু করা যাচ্ছে না।
ফাওজুল
কবির খান বলেন, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর অনেক পদক্ষেপ
নেয়া হয়েছে। ২০১০ সালের আইন বাতিল করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাতে কাজ পায় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ
ও জ্বালানির দাম আরো কমানো যায় কিনা প্রতিনিধিদলের এমন অনুরোধের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু চলমান চুক্তিগুলোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম
সেভাবে কমানো যাচ্ছে না। ল্যান্ডবেইড এলএনজি টার্মিনাল করা যায় কিনা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ
নেয়া হচ্ছে। এছাড়া খুলনায় একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা যায় কিনা সেটাও যাচাই করা হবে।
প্রতিনিধিদলের
পক্ষে প্রস্তাব করা হয়, সিএনজি স্টেশন ও আবাসিকখাতে গ্যাসের
সরবরাহ রেশনিং করে তা শিল্পখাতে সরবরাহ
করার এবং স্বর্ণদ্বীপ ও কিশোরগঞ্জের হাওড়ে
সরকারি জমিতে সোলার প্লান্ট করার বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য।
এমন
প্রস্তাবের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই দুটি খাতেও
গ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে তবে তাদের দাবিগুলো যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করা হবে। এলএনজি আমদানি সহজ। বিধায় এটির মাধ্যমে কারখানাগুলো চালানো যায় কিনা সে ব্যাপারও প্রতিনিধিদলকে
ভেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময়
সভায় জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর ও বিদ্যুৎ বিভাগের
অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম
আহমেদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।