সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত, যা ঘটেছিল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুটি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা আহত হন। ঢাকার আজিমপুরে ঘটা এই ঘটনা নিয়ে কথা হয়েছে ঢাবির নতুন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের।
তিনি বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে, ওখানে রাস্তার পাশে যে ভেন্ডর থাকে, ওদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওখানের দোকানদারদের সংঘর্ষ হয়। পরে দোকানদাররা বোধ হয় আর্মির মোবাইল পেট্রোল টিমকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর সেনাবাহিনী দু’পক্ষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ওদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
ঢাবির নতুন প্রক্টর বলেন, এটা সৈনিকরা করেছেন, অফিসাররা না। ওখানকার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদকে আমি যখন ইনভলভ করি, তিনি এসে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করেছেন। কিন্তু কোনো এক ফাঁকে দুই শিক্ষার্থীকে ওরা (সৈনিকরা) ভেতরে নিয়ে যান। যে দু’জনকে তুলে নিয়েছেন, তাদেরকে ব্যাপকভাবে মেরেছেন। ওই দুইজন ব্যাপকভাবে জখম হয়েছেন। এটা অফিসারদের অজ্ঞাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ওই দুই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। পরে তাদেরকে রাত ৩টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের উপস্থিতিতে সিএমএইচে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত কোনো শঙ্কা নেই।
তবে ওদের বিশ্রাম দরকার এখন। পরবর্তী ছয় ঘণ্টা পর বোঝা যাবে যে অন্য কোনো ট্রিটমেন্ট দরকার কিনা। বিশেষ করে তাদের লোয়ার পার্টে।সেখানে জখমের চিহ্ন আছে।
সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, এই দু’জন শিক্ষার্থী মুহসিন হলের ছাত্র। তবে গুরুতর আহতের সংখ্যা দু’জন হলেও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের কারণে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনা তদন্তের জন্য সেনাবাহিনী একটি তদন্ত টিম করছে। তারা এই ইস্যুটা খুব সিরিয়াসলি দেখবেন। ওরা যেহেতু কথা দিয়েছেন, তাই আমরা মামলাতে যাইনি।