সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি বাম জোটের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোট বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দখলদারিত্ব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে দেশবাসী আশা করলেও তার উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ সব কথা বলেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতাািন্ত্রক বিপ্লবী পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টি নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।
আরো পড়ুন: জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আপিল শুনানির তারিখ নির্ধারণ
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠী বিজয়ী হয়নি। ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ে দেশবাসী আশা করেছিল যে, ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও অতীত দিনের মতো দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজ বন্ধ হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি।
বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় সৃষ্ট সংকটে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিবৃতিতে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাসহ এ সময়ে ও অতীতে যেসব দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে তার অবসান ঘটাতে বিশেষ উদ্যোগ নেবার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে যদি কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি/ আবেদন করার অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে সংগঠিত ঘটনার জেরে সারাদেশে চিকিৎসকদের কমপ্লিট সাট ডাউন কর্মসূচি ঘোষণা ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানা ভাংচুরসহ নৈরাজ্যকর ঘটনা যা ঘটে চলেছে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুগভীর চক্রান্ত বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে শুরুতে এমন চক্রান্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।