এক সপ্তাহে গণত্রাণে সংগ্রহ সাত কোটি ৭৮ লাখ টাকা

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:১১ এএম

ছবি: সংগৃহীত
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঘটে যাওয়া বন্যায় বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে গত এক সপ্তাহে মোট অর্থ জমা পড়েছে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৮ টাকা। সরাসরি ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমে ২১ আগস্ট (বুধবার) থেকে ২৮ আগস্ট (বুধবার) পর্যন্ত এ টাকা এসেছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাবি টিএসসির মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এসব তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে ত্রাণ কার্যক্রমে বন্যাকবলিত এলাকায় ৮২ ট্রাকে এক লাখের অধিক পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে ও বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়েছে ৭১ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা।
এছাড়াও জমাকৃত অর্থ থেকে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ১৪৭ টাকা সোনালী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান সমন্বয়ক লুৎফর রহমান।
আরো পড়ুন: আমি ও সালমান আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম, আমরা নির্দোষ : আনিসুল
বক্তব্য প্রদানকালে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, বন্যার্তদের জন্য আমরা গত এক সপ্তাহ আগে এ ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করি। এতে আমরা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। বর্তমানে টিএসসি, জিমনেশিয়াম এবং ডাকসু ভবনের ক্যাফেটেরিয়ায় আমাদের ত্রাণের কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, খাবার আইটেম বাদে গত এক সপ্তাহে টিএসসি ব্যুথে নগদ অর্থ ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকা; মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮ টাকা; ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯০ টাকা জমা হয়েছে।
জনসাধারণের জমাকৃত অর্থ থেকে খেজুর, মুড়ি, বিস্কুট, গুড়, দড়ি, কার্টার, কলম, রিকশা ভাড়া, ভ্যানভাড়া, পলিথিন, বস্তা, চিনিসহ বিভিন্ন সামগ্রীতে ৭১ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
গত এক সপ্তাহে ৮২টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রায় এক লাখের অধিক প্যাকেজ বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ৪ হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারযোগে বন্যা কবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে এবং পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্যাকবলিত কুমিল্লার ৪ উপজেলা ও খুলনার পাইকগাছায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য গণরান্না কর্মসূচির মাধ্যমে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি অন্যান্য এলাকায়ও করা হবে।