সাবেক বিচারপতি মানিকের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সিলেট সীমান্ত থেকে আটক সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (৭৪) এখনো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্তীকে সভাপতি করে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন-রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশিকুর রহমান মজুমদার, অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শাহ ইমরান, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মোখলেছুর রহমান, সার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ মাহমুদ, অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খায়রুল বাশার, ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও প্যাথলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট কান্তা নারায়ণ চক্রবর্তী।
মেডিকেল বোর্ডর প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ায় শনিবার রাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সকালে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি জানান, বিচারপতি মানিক ১০ বছর আগে বাইপাস করিয়েছিলেন। তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে। সার্জারির উন্নতি হলে অন্য বিভাগে রেফার করা হবে। আগামীকাল (সোমবার ২৬ আগস্ট) অস্ত্রোপচার করা বিশেষ অঙ্গে (অণ্ডকোষ) ড্রেসিং করা হবে বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রিটের শুনানির তারিখ নির্ধারণ
উল্লেখ্য, শনিবার সিলেটে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় বিচারপতি মানিক হামলার শিকার হন। ক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর জুতা ও ডিম ছোড়ে, হামলাও হয়। ওই সময় লাথিতে তার বিশেষ অঙ্গ ফেটে যায়। আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পর শরীরে রক্তক্ষরণসহ অণ্ডকোষে সমস্যা দেখা দেয়। ওইদিন রাতে তাকে আবার কারাগার থেকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে কারা কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির পথে।
এর আগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করে বিজিবি। পরদিন শনিবার সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করলে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট–১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।