ডিএসসিসি প্রশাসক
আরো সুচারুভাবে নাগরিক সেবা দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নাগরিকদেরকে সুচারুভাবে আরো দ্রুততার সঙ্গে সেবা দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক ড. মহ. শের আলী। শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে দয়াগঞ্জ মোড় সংলগ্ন বর্জ্য সংগ্রাহক আধার (কন্টেইনার) পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তদানের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তারা চায় সিটি করপোরেশন যেভাবে নাগরিক সেবা দিচ্ছিল সেটি আরো উন্নতভাবে দেয়ার জন্য। এই প্রেক্ষাপটে আমরা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছি। আমরা কিছু সমস্যা দেখেছি। সেগুলো অতিক্রম করতে চাই। আমরা যেসব সেবা নাগরিকদের দিয়ে থাকি সেগুলো আরো সুন্দর, সুচারুভাবে ও দ্রুততার সঙ্গে যাতে দেয়া যায়, আমাদের সেই প্রচেষ্টা থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক শের আলী বলেন, সিটি করপোরেশন যেসব সেবা দিয়ে থাকে তার মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিয়ন্ত্রণ ও সড়ক বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি অন্যতম। আপনারা জানেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ৩টি পর্যায়ে হয়ে থাকে। বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে এসটিএসএ রাখা এবং সেখান থেকে কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা এই পুরো কার্যক্রম ১ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করতে চাই।
আরো পড়ুন: বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ
সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা সংস্থার মতো দক্ষিণ সিটির কোন প্রকল্প বা কার্যক্রমে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, প্রথম বিষয় হচ্ছে, দুর্নীতি বা আইনগত বিষয়গুলো দেখার জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। আমরা নাগরিক সেবা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর জোর দিচ্ছি।
এসময় ডিএসসিসি প্রশাসক মিতালী স্কুল ও আসগর আলী হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম এবং দক্ষিণ কুতুবখালী খাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা প্রমুখ।