রেলের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে যা বললেন রেল উপদেষ্টা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩০ পিএম

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
রেলের টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, মানুষ কাউন্টারে গেলে টিকিট পায় না। কিন্তু আবার ট্রেনে উঠতে গেলে আলাদাভাবে টিকিট পাওয়া যায়। এটা আগে চললেও এখন চলতে পারে না। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল রেল ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলওয়ে কয়েকজন লোক আছে তারা ফোন নাম্বার দিয়ে এ কাজটি করে থাকে। সাধারণ মানুষ কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পায় না। এখন বলে দিয়েছি এ বিষয়ে একটা টাস্ক ফোর্স গঠন করতে। ওই ফোন নাম্বারগুলো যেন ব্লক করে দেয়। ওরা যেন আর কখনো কোনো টিকিট কিনতে না পারে। এটাও বলে দিয়েছি, যে আইডি ও মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকিট কাটা হয়েছে ও যিনি ট্রেনে ভ্রমণ করছেন তার সঙ্গে মিলছে কিনা।
ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা নিয়ে আরো একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়টার ট্রেন কয়টায় যায় এটা বন্ধ করতে হবে। কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু এইটা দূর করতে হবে। রেলের জমি নিয়ে নয়-ছয় বন্ধ করতে হবে। রেলের জমি কার কার হাতে আছে সেটা দেখতে হবে। আশা করি এসব বিষয়ে আমার কাছে পাঠানো হবে।
রেলওয়ের দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে কঠোর বার্তা দিয়ে রেল উপদেষ্টা বলেন, এবার দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট সবার ভয়ানক পরিণতি হবে। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে কিন্তু আমাদের সবার ভয়ানক পরিণতি হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এটা কোনো বানেভাসা সরকার না, এটা মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার না, এটা কোনো থানার ওসির সরকার না।
এটা আমাদের ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত সরকার। পরিসংখ্যান দিয়ে কাউকে মূল্যায়ন করা হবে না জানিয়ে তিনি আরো বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটাকে সেবা দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে।
রেলের দুর্নীতির বিষয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে দুর্নীতি তো মাথা থেকে শুরু হয়। তারা পিয়ন-ড্রাইভারের মাধ্যমে টাকা নেয়। আমি বলেছি, আমাকে যদি কেউ টাকা দিতে চায়, তাহলে সরাসরি আমার অফিসে এসে সামনাসামনি দেবেন। আমি কারো মাধ্যমে টাকা নেবো না। আমি রেলের সচিবকে সঙ্গে রাখবো এবং টাকা নেবার রিসিপ্ট দেবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।