শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেয়া প্রসঙ্গে যা বললেন রুপা হক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

রুপা হক ও শেখ হাসিনা
কয়েক সপ্তাহের ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশে হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন।
তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদসদস্য রুপা হক শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার পক্ষপাতী নন বলে জানিয়েছেন।
লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রুপা হক হাসিনার পদত্যাগকে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ইরাকে সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার পর যেমন চিত্র দেখা গিয়েছিল; হাসিনার ক্ষেত্রেও ঢাকা শহরে একই চিত্র দেখা গেছে। জাতির পিতার ভাষ্কর্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে; কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটসও এর আঁচ থেকে বাদ যায়নি। চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে হাসিনার পতনকে তুলনা করে রুপা বলেছেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে শাসন করেছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।
তিনি আরো লিখেছেন, আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল যাতে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত করা যায়। কীভাবে গুলি করে শত শত মানুষকে মেরে ফেলেছে হাসিনা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক পর্যায়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। রুপা হক লিখেন, হাসিনার পতনের পর যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশিরা পূর্ব লন্ডনের রাস্তায় নেমে এসেছিল। তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়া একজন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাচ্যুতিতে উল্লাস করছিল।
একজন বৃটিশ বাংলাদেশী এমপি হিসেবে বাংলাদেশের এই ইস্যুতে অনলাইনে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান রুপা। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তার মতো একজন অ-জনপ্রিয় এবং অভিবাসন নিয়ে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার কারণে এমন একজন হাই প্রোফাইল আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এছাড়া অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।