সচিবদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার শুধু তার অধীনে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের সঙ্গে সভা করবেন। সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের সঙ্গে এটিই তার প্রথম সভা।
সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত সচিবদের (গ্রেড-১) এ সভায় থাকতে হবে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো-মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা সিনিয়র সচিব ও সচিবদের কথা শুনবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
উল্লেখ্য, আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এই তিন দিনে দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। এই ফাঁকে সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ নানা ঘটনা ঘটে দেশে। এই অবস্থায় গত ৮ আগস্ট রাতে শপথ নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করে।
কিন্তু পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারের কাজ খুব একটা দৃশ্যমান হয়ে উঠেনি। গতকাল সপ্তাহের কাজের দিন শুরু হতেই অরাজকতা সরিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা আনতে জোর দেয়া হয়। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে দেশে ধীরে ধীরে শৃঙ্খলাও ফিরে আসতে শুরু করে।