বিটিভি ভবনে হামলার নেপথ্যে কারা, এজাহারে যা উল্লেখ করলেন বাদী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

রাজধানীর বিটিভি ভবনে গত ১৮ জুলাই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ || ছবি: সংগৃহীত
সরকারী চাকরিতে কোটা বৈষম্য কমাতে ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) রামপুরা ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গত ১৮ জুলাই এ হামলার ঘটনায় পরদিন ১৯ জুলাই বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন। হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াতের প্ররোচনার-পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয় সেই মামলার এজাহারে।
সেখানে বাদী উল্লেখ করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অজ্ঞাতনামা আরো শীর্ষ নেতাদের পরিকল্পনা, প্ররোচনা ও অর্থায়নে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এতে বিটিভির ৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া আমীর খসরুসহ ২০ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে ডিবি। মামলার পর বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়। সবশেষ বুধবার (২৪ জুলাই) এ মামলায় আমীর খসরুকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওইদিন শিক্ষার্থীরা বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এরপরই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে অজ্ঞাতনামা তিন-চার হাজার কর্মী বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আদালতে রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার বিষয়টি নিয়ে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। আসামিরা জামিনে পলাতক হলে চিরতরে পলাতক হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য-সচিব আমিনুল হক, বিএনপির এমএ সালাম, মাহমুদুস সালেহীন, আনোয়ারুল আজম অনু, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হক, রাহাত বিন হক, আজহারুল হক শাহীন, আকতার হোসেন, নূরুল হুদা, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুল হক, কাদির মিঝি, আব্দুর রশিদ খান ও রুহুল আমিন।
মামলাটি দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/৩৫৩/৩৮৪/৪৩৬/৩০৭/১০৯/১১৪/৫০৬ ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় করা হয়। মামলার অভিযোগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।