ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক, যা জানালেন সভাপতি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চীন সফর শেষে দেশে ফিরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এ আন্দোলন। সোমবার (১৫ জুলাই) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পর বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এর পর পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, তারা যাচাই–বাছাই করছেন। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
-11040-6696627d7c0cc.webp)
ফেসবুকে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া নেতাদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী ঈমাম জুয়েল, সাহিত্য সম্পাদক রূপক কুমার নায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখার বিজ্ঞানবিষয়ক উপসম্পাদক জেবা সায়ীমা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সহসভাপতি গাজী মো. আবদুল মান্নান ও হাসিবুল হাসান, রোকেয়া হল শাখার সহসভাপতি তামান্না রহমান, শামসুন নাহার হল শাখার পাঠাগারবিষয়ক উপসম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা এবং ফজলুল হক মুসলিম হল শাখার সদস্য আবদুল্লাহ আল মুবিন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২৪তম ব্যাচ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২৮ ব্যাচ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৫ ব্যাচসহ বিভিন্ন গ্রুপ এমন ঘোষণা দেয়।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চীন সফর উপলক্ষে রবিবার (১৪ জুলাই) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কোটা নিয়ে আদালত থেকে সমাধান না আসেলে সরকারের কিছু করার নেই। এর পর তিনি প্রশ্ন রাখেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?