হাইকোর্ট
প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে বাটপাররা বিসিএস চাকরিতে যাবে, এটা মানা যায় না

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম

বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে আদালতের উদ্বেগ প্রকাশ।। ছবি: সংগৃহীত
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুবিধা নিয়ে বাটপাররা বিসিএসের মতো চাকরিতে চলে যাবে বিষয়টা নেয়া যায় না এমন উদ্ধৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট । আদালত বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আমাদের জন্য কষ্টের। এতে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিট মামলার শুনানিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব বলেন।
আদালত বলেন, ১২ বছর ধরে এতবার বিসিএসের মতো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। পিএসসির দায়িত্বরতরা প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে পারছেন না কেন? যদি না পারেন তাহলে এরা দায়িত্ব পালনে অযোগ্য।
সারডা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মুরাদ ভুঁইয়া সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন । আদালতে তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন করতে হবে। ২৪ থেকে ৪৫তম বিসিএসের পরীক্ষায় আবেদ আলী কর্তৃক প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুবিধা নিয়ে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, তালিকা কীভাবে খুঁজে বের করবেন? এর উত্তরে রিটকারী মুরাদ ভুঁইয়া বলেন, আবেদ আলী ও এ বিষয়ে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এই তালিকার বিষয়টি জানেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুজ্জামান বলেন, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আবেদ আলী অনেকের নামও বলেছেন।
হাইকোর্ট বলেন, বেনজীরের মতো এতটা পাওয়ারফুল নয় আবেদ আলী। তবে ফাঁস করা প্রশ্ন যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে এবং যারা এর পেছনে রয়েছেন তারা পাওয়ারফুল। তদন্ত সংস্থা কি তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রাখে? যদি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা না থাকে তাহলে সেভাবেই আদেশ দেয়া হবে।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবির আদেশ দেন। এ সময়ের মধ্যে রিটের বিষয়বস্তুর উপর সরকারের অবস্থান কী তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলা হয়।