প্রশ্নফাঁস করে কুলি থেকে যেভাবে কোটিপতি হলেন পিএসসির আবেদ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আবেদ আলী নিজ গ্রামে সাধারণ মানুষ কাছে তিনি দরবেশ। এলাকায় দান খয়রাত করতেন দু'হাত ভরে। বাড়ির পাশে তৈরি করেছেন মসজিদ। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু এটাই আবেদ আলীর আসল চেহারা নয়। মানবিকতার আড়ালে তিনি যা করেন, তা রীতি মতো পরিকল্পিত ভণ্ডামি। পিএসসির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আবেদ আলী ও তার ছেলেসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন সিআইডি।
প্রথম জীবনে নিজ গ্রামে মাটি কাটা শ্রমিকের কাজ করতেন আবেদ। চাকরির খোঁজে রাজধানীতে এসে ফুটপাতে শুয়েও পার করেছেন রাতের পর রাত। বহু চেষ্টা-তদবিরে একসময় ভাগ্য খোলে আবেদের।
আরব্য রজনীর রূপকথার আলাদীন যেমন জাদুর চেরাগ পেয়ে শূন্য থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গিয়েছিলেন। ঠিক তেমনি গাড়িচালকের চাকরি পেয়ে শূন্য থেকে শত শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন আবেদ।
গাড়িচালক হয়ে পিএসসিতে ঢোকার পরই আবেদ আলী প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে যুক্ত হন। বছরের পর বছর ধরে বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে কামিয়ে নেন শতকোটি টাকা।
দামি বাড়ি, গাড়ি, প্লট-ফ্ল্যাট, এমনকি তৈরি করেছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স কোম্পানিও। এখন নিজেকে পরিচয় দেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে। আর সেই টাকায় বিলাসী জীবনযাপনের পাশাপাশি গড়েছেন একের পর এক সম্পদ।
আবেদ আলীর উত্থান নিয়ে সম্প্রতি এক সমাবেশে তার ছেলে সিয়াম বলেন, আমার বাবা একদম ছোট থেকে বড় হয়েছেন। আমার বাবার বয়স যখন ৮ বছর, তখন পেটের দায়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় গিয়ে কুলিগিরি করে ৫০ টাকা রুজি দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করব।