জি এম কাদের
চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন। সব সমাজের মানুষই বৈষম্য পছন্দ করে না। বৈষম্যময় সমাজকে সুষ্ঠু সমাজ বলা যায় না। বাঙালিরা ব্রিটিশ আমল থেকে বৈষম্যের শিকার হয়ে ছিল। বৈষম্য থেকে বাঁচতেই তারা পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হয়েছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তাই প্রথমে শুরু হলো স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম শুধু বৈষম্য থেকেই বাঁচতে। স্বপ্ন ছিল আমাদের একটি বৈষম্যহীন দেশ হবে। যেখানে নির্যাতন-নিপীড়ন থাকবে না। সংবিধানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি হচ্ছে সংবিধান পরিপন্থী।
আরো পড়ুন: কোটা সংস্কারের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের
তিনি বলেন, বৈষম্য সৃষ্টি করতেই বাংলাকে পাকিস্তানিরা রাষ্ট্রভাষা করতে চায়নি। ভাষার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল তারা। উদ্দেশ্য ছিল বাঙালিরা যেন সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকে। এই বৈষম্যের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। বৈষম্যহীন ও ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ গড়তেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। এমন অবস্থায় চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি করে। সংবিধানে সাম্যের কারণে কিছু মানুষকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুযোগ দেয়ার কথা আছে। যারা পিছিয়ে আছে, তারা যেন এগিয়ে যেতে পারে। পিছিয়ে পড়াদের কতটুকু সহায়তা দেয়া হবে তাও সংবিধানে বলা আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি করা। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসক গোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।