সড়ক-মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের 'বাংলা ব্লকেড', দুর্ভোগে মানুষ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীসহ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়ক ও মোড়ে মোড়ে 'বাংলা ব্লকেড' পালন করছেন তারা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিন বেলা ৩টায় ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে কিছু স্থানে সকাল থেকেই রাস্তায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে অবরোধ করেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে একজন আন্দোলনকারী বলেন, কোটা ব্যবস্থা অগণতান্ত্রিক, অসাম্যের এবং অন্যায্য। এ কারণে বাধ্য হয়ে ব্যবস্থাটি বাতিলের জন্য রাস্তায় নামা।
২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজপথ উত্তাল রয়েছে। শুধু তাই না ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে এ দাবী বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীরা অনড়।
শিক্ষার্থীরা সারা দেশে এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলনসহ সড়ক, মহাসড়ক ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্ট অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের উদ্দেশ্য ছিলো সড়ক-মহাসড়ক অচল করে দেয়ার। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এমনকি যানজট এড়াতে রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ সড়কের বিকল্প ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ছাত্রদের কর্মসূচি চলছে। তাই রমনা, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমন্ডিসহ বেশকিছু এলাকার রাস্তাঘাটে ট্রাফিক বেড়ে যেতে পারে এবং জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকায় চলাচলকারীদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
তাই রবিবার সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যাত্রী-চালকরা পড়েন অসহনীয় ভোগান্তিতে ।
ফারুক নামের একজন যাত্রী বলেন, গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে আজকে (৭ জুলাই) বের হয়েছিলাম। কিন্তু সাভার পার হতে না হতেই তীব্র জ্যামে আটকা পড়ি। অবশেষে বাধ্য হয়ে হাঁটছি। গরম আর তৃষ্ণায় নাজেহাল অবস্থা।
অন্যদিকে মাথায় কাফনের কাপড় নিয়ে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতেও সৃষ্টি হয় জনদুর্ভোগের।
কোটা বাতিলের দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।