সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ডিএনসিসি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০১:১০ পিএম

সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম প্রতিষ্ঠা করায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের কারণে খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোর লোকজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনা করছেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। অভিযানে ডিএনসিসির এক্সেভেটর ও বুলডুজারসহ বিশেষ যান দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অভিযানে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
অভিযানের শুরুতে খালের অংশে দখলে থাকা অস্থায়ী স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও বেশ কিছু অস্থায়ী স্থাপনা এখানে গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও উচ্ছেদ করছে ডিএনসিসি। মূলত খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল সাদিক অ্যাগ্রোর খামার। দখলের কারণে মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল সাদিক অ্যাগ্রোর অংশে একটি নালাতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সড়কের জায়গাও দখল করেছে তারা। মূলত সেই কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই এবং তা অবশ্যই হওয়া উচিত। সিটি করপোরেশন যে জায়গাটা খাল বলে দাবি করছে, সেটির মালিক আমি না। এই জায়গায় মালিক এই স্থাপনার দ্বিতীয়তলায় থাকেন। তিনি তার জায়গায় স্থাপনা করেছেন, আমি নিচতলা ভাড়া নিয়েছি। মালিক নিজেই দ্বিতীয়তলায় থাকেন। খাল ভরাটসহ যা কিছু বলা হচ্ছে সবই মালিকের করা। আমার কিছুই না। আমি তার জায়গা ভাড়া নিয়েছি নিচ তলায়। দ্বিতীয় তলায় যেহেতু তিনি থাকেন এবং সিটি কর্পোরেশন যদি মনে করে যে এটা ভেঙে দেবেন, তো ভেঙে দিতে পারে।
সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক বলেন, ‘আমি যে ভাড়া নিয়েছি এটার ডিড (চুক্তি) আমার কাছে আছে। তাই আমি এটার মালিক বললেই হবে না। আমি খালসহ ভাড়া নেইনি। উনি স্থাপনা বানিয়েছে, সেই নিচ তলায় আমি ভাড়া নিয়েছি।’
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, খাল ও সড়কের জায়গা উদ্ধারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এর আগে বেশ কয়েকবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা আমলে নেয়নি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।