এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বন্যা ও ভারি বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছি। সারা দেশে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অন্যান্য এলাকায় কিছুদিন পর অনেক বৃষ্টি হবে। আমরা যদি বিলম্ব করি তাহলে সেখানে পরীক্ষা নিতে পারব না।’
এর আগে, বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে আগামী ৩০ জুন থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে তা স্থগিত থাকছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন : অবশেষে পাঠ্যবই থেকে তুমুল বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ বাদ
এতে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সিলেট বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, সিলেট; বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাসমূহ ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ জুলাই থেকে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আর স্থগিত পরীক্ষাসমূহের সময়সূচি পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও অন্য সাধারণ ৮টি বোর্ডের পরীক্ষাসমূহ প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছর সিলেট বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৮২ হাজার ৪১৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
সাধারণত দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তাই সিলেট বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকছে না। তবে বিপত্তিতে পড়েছে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড। সারা দেশে আলিম ও এইচএসসি (বিএম ও বিএমটি) পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র একই থাকায় ঝামেলাই পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসার পরীক্ষা স্থগিত করায় এ বিভাগে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে, তা জানতে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা উদগ্রীব।
এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মামুন উল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৪টি প্রশ্নপত্র তৈরি করি। এর মধ্যে দুই সেট ছাপানো হয়। বাকি দুই সেট সংরক্ষিত থাকে। সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাকি দুই সেট থেকে নেয়া হবে।
মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীরও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে একই কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।