সারাদেশে ২৬১৮১ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
বিআইডব্লিউটিএ এর অভিযানে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় প্রায় ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীরর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী দখলের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ার প্রেক্ষাপটে বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন সময় ঘোষিত নদীবন্দর সীমানার মধ্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অন্যান্য নদীর তীরভূমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়। ২০১০-২০২৪ সাল পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে এবং এখনো বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিতভাবে এর কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আরো পড়ুন : অনিয়মের অভিযোগে ৪ মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, উক্ত কার্যক্রম ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বেগবান হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ যথাক্রমে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালুনদীর তীরভূমিতে বিদ্যমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দুইপাশ অবৈধ দখল মুক্ত রাখার লক্ষ্যে তীরভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রাখা এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি তীরবর্তী জায়গায় জনগণের জন্য বসার বেঞ্চ, পরিবেশবান্ধব ইকোপার্ক, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বৃত্তাকার ১১০ কিলোমিটার নৌপথের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, উচ্ছেদকৃত নদী এবং তীরভূমিতে যাতে পুনরায় অবৈধ দখল না হয় সেজন্য ১ হাজার ১৮১ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ৭ হাজার ৫৬২টি সীমানা পিলার স্থাপন, ৪৬ হাজার বৃক্ষরোপণ, ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১৪টি জেটি, কি-ওয়াল এবং ৩টি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, ধলেশ্বরী এবং শীতলক্ষ্যা নামক ৫ (পাঁচ)টি নদী দ্বারা বেষ্টিত বৃত্তাকার নৌপথের মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কি.মি.। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য উক্ত নদীগুলোর তীরে সরকার ঘোষিত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গি ও মিরকাদিম-এ ০৪ (চার) টি অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ পরিচালিত এ সকল অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলো নির্বিঘ্নে মালামাল ও যাত্রীবাহী নৌ চলাচলের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ করছে। নদীগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে একটি সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে।