সিট ফাঁকা থাকলেও টিকেট পাওয়া যায় না, সত্য নয়: বিমানমন্ত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম

ফাইল ছবি
সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকেট পাওয়া যায়না, বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে বিমান উড্ডয়ন করে থাকে- এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট যাত্রীরা বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, জিডিএস, মোবাইল অ্যাপ, কল সেন্টার এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও যে কোনো অনুমোদিত দেশি-বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে ক্রয় করতে পারেন। বিমানের কোনো টিকেট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়। ফলে কারোর পক্ষে একসঙ্গে অনেক টিকেট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। কোনো এজেন্সি চাইলেই যাত্রীর তথ্য ছাড়া কোনো টিকেট বুকিং করতে পারবে না। সেই সঙ্গে কোনো এজেন্সি মিথ্যা বা ভূয়া তথ্য দিয়ে বুকিং করলে সেটি ধরে জরিমানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপও নেয়া হয়। এছাড়াও প্রতিটি টিকেটে বুকিং সময়সীমা দেয়া থাকে যার মধ্যে টিকেট কেনা শেষ না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: দেশে আবাদযোগ্য জমি ৫৯ শতাংশ: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, যেকোনো এয়ারলাইন্স ব্যবসায় ভরা মৌসুম ও মন্দা মৌসুম থাকে। যখন ফ্লাইটে চাপ কম থাকবে, তখন কিছু সিট খালি থাকতে পারে যা সারা বছরের চিত্র নয়। আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকেট কিনতে গেলে বলে টিকেট নেই, এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটা ঢালাও অভিযোগ। এছাড়াও যাত্রীরা কনফার্ম টিকেট করেও যথাসময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে না পারা, যাত্রীদের অনেকের ভুয়া ভিসা এবং ডকুমেন্টস থাকায় এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনী জটিলতার কারণেও অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে। প্রসঙ্গত কিছু রুটে লোড প্যানাল্টি থাকায় কিছু সংখ্যক সিট অবিক্রিত রাখা হয় বিধায় সিট ফাঁকা থাকে। সুতরাং “সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকেট পাওয়া যায়না; বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে বিমান উড্ডয়ন করে থাকে” উক্ত কথাটি সত্য নয় মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রুট বা গন্তব্যভেদে টিকিট মূল্য বিভিন্ন হয় থাকে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সসমূহ তাদের বিদ্যমান যোগান ও চাহিদা, প্রতিযোগিতামূলক বাজার, ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ নীতি, পরিষেবা প্রদান প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।
এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের আকাশপথ ব্যবহারকারী বিভিন্ন দেশের বিমানগুলো বাংলাদেশকে সঠিক পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের আকাশ পথ ব্যবহাকারী বিভিন্ন দেশের বিমানগুলো বিমানবন্দরের এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে থাকে। ফলে এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টার হতে দাবীকৃত বিল অনুসারে সব এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে।