কে এই প্রিন্স মামুন, তাকে ঘিরে কেন এত বিতর্ক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত প্রিন্স মামুন ও লায়লা। সম্প্রতি লায়লার ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় ১০ জুন রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অনেকেই আছেন, যারা সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রিক নয়। তারা প্রিন্স মামুনকে চিনবেন না, এটাই স্বাভাবিক। তাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে, কে এই প্রিন্স মামুন? কী করেন তিনি?
প্রিন্স মামুন পরিচিতি পান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক ও লাইকি থেকে। স্যোশাল মিডিয়ায় নিজের করা মিউজিক ভিডিও সেখানে পোস্ট দিতেন মামুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকেই তার পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা। আর দেশে এসব অ্যাপ জনপ্রিয়তার পেছনে কিছুটা হলেও মামুনের ভূমিকা রয়েছে তার।
একটা সময়ে নাচ শিখেছেন মামুন। সেই নাচের ভিডিও অনলাইনে শেয়ার দিতেন। শেয়ার দিতেন অনেক মজার ভিডিও। একেক করে জুটে গেলো অগণিত ভক্ত। অনলাইন থেকে তার জনপ্রিয়তার ঢেউ এসে পড়লো অফলাইনেও। এখন তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শোরুম দোকান উদ্বোধন করেন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে।
প্রিন্স মামুন ও লায়লা আখতার বয়সের ব্যবধানের পরও প্রেমের সম্পর্কের কারণেই তাদের ব্যক্তিজীবন চর্চিত। কিছুদিন আগেই ফেসবুকে পোস্ট করে লায়লা জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মামুনের আর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরো পড়ুন: লায়লার ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেপ্তার
লায়লা মামুনকে নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন অভিযোগ করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কখনো ঝগড়া করে, কখনো মামুনের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ। আবার কখনো মামুনের নামে লায়লা অভিযোগ তুলেছেন শারীরিক অত্যাচারেরও। তবে এবার সব ছাপিয়ে লায়লা মামুনের নামে করলেন বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা।
সেই মামলার জের ধরেই প্রিন্স মামুনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১১ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন- ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো।
লায়লা আরও জানান- মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।