নারীসহ প্রান্তিক মানুষের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দের দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০২:১১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
গ্রামীণ নারীদের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাথাপিছু বাজেট বরাদ্দ এখনকার তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন এলআরডি ও এইচডিআরসি। এ সময় আদিবাসীসহ প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়ন বাজেটে ন্যায্য বরাদ্দের দাবি তোলা হয়।
বাজেট প্রক্রিয়া ও উন্নয়নে প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণ এবং বাজেটে তাদের ন্যায্য বরাদ্দ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি তোলা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর সিরডাপের একটি মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠন দুইটি।
এতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হিউমেন ডেভেলপমেন্ট রিচার্স সেন্টারে (এইচডিআরসি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আবুল বরকত। এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সভাপতি নাসিমুন আরা হক, বাসদের সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
আরো পড়ুন: বুধবার শেষ হচ্ছে হজ ফ্লাইট
ড. আবুল বরকত বলেন, নারী কৃষকদের স্বীকৃতি দিয়ে তা কার্যকরে বাজেটে বরাদ্দ দেয়া জরুরী। কৃষিক্ষেত্রে গৃহীত প্রকল্পগুলোয় নারীর জন্য কোটা রাখতে হবে। মাথাপিছু বাজেট বরাদ্দ এখনকার তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা জরুরী। সেই সঙ্গে নারী-কৃষক, নারী কৃষি-শ্রমিক এবং প্রান্তিক গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা এবং তাদের পণ্য উৎপাদন এবং বিপণনের সুযোগ সৃজনের
জন্য কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য বাজেটীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল সময়কালকে পারিবারিক কৃষি দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে। অথচ পারিবারিক কৃষি বিষয়টি আমাদের দেশে স্বীকৃতি নয়। বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে পারিবারিক কৃষি খাতের সমস্যাগুলো অনেক বেশি প্রকট এ যেনো হাত কাটা খেয়ে কোনোভাবে টিকে থাকার জন্য পরিচালিত কৃষি ব্যবস্থা। জাতীয় বাজেটে পারিবারিক কৃষির জন্য মোট বরাদ্দ কত তার কোনো “দাপ্তরিক” হিসেবে নেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে পারিবারিক কৃষির জন্য মোট বরাদ্দ ৪০ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা—যা মোট বাজেটের ৫.৩%। তাই পারিবারিক কৃষিকে স্বীকৃতি দিয়ে এই বাজেট দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দাবি জানিয়ে শামসুল হুদা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকে না। আদিবাসীদের জন্য করা ভূমি কমিশনের জন্যও বরাদ্দ দেয়া হয় না। তাই আদিবাসীদের ভুমি সংকট নিরসন ও জীবন মান উন্নয়নে নির্দিষ্ট বরাদ্দের কথা বলেন তিনি।
ভুমি সংস্কারের সমালোচনা করে জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, একজন দুজনকে ধনী বানিয়ে ২০ কোটি লোককে গরিব বানানোর বাজেট দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। গ্রামে ভুমি সংস্কারের নামে বরাদ্দ হয়। কিন্তু ক্ষমতাবানরা ভুমি দখল করে। গরিবরা ও ভুমিহীনরা খাস জমি পায় না। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া ভুমি সংস্কার সম্ভব হবে না।