দুই বেলা চলবে বাজেট অধিবেশন
আনারের মৃত্যু নিশ্চিতের পর শূন্য ঘোষণা হবে ওই আসন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন প্রতিদিন দুই বেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এবং আবার একই দিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা অর্থাৎ প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে সংসদের বৈঠক বসবে।
বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, বাজেটর ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য দুই বেলা সংসদ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। কমিটি সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
জানা গেছে, বৈঠকে কলকাতায় ‘খুন; হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বৈঠকে প্রসঙ্গটি তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা হবে।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদের, আমির হোসেন আমু, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু, ডা. দীপু মনি, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। সভাপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপিও অংশ নেন বৈঠকে ।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- ৬ জুন বিকেল ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। শুক্র, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন অধিবেশন হবে না। তবে ২২ ও ২৯ জুন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা হতে ১টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অধিবেশন চলবে।
এদিকে ঈদুল আজহার কারণে ১৩ জুন অধিবেশন মুলতবি হয়ে ১৯ জুন পুনরায় শুরু হবে। সংসদের কার্যাবলীর পরিমাণ বিবেচনায় স্পিকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৩য় (বাজেট অধিবেশন) অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে দেয়া হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৮২টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য এক হাজার ৮৯০টি প্রশ্নসহ এক হাজার ৯৭২টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৫৪টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিশ পাওয়া যায়নি। বিধি-১৩১ এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সংখ্যা ১২৯টি। বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায় নি। ৫টি সরকারি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন ৩টি, পাশের অপেক্ষায় ১টি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় ১টি।