ক্ষতিকর প্রচারণায় মানুষের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
একটা সময় ছিলো যখন বিজ্ঞাপনের জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতো তামাক কোম্পানি। ওই সময়েও নীতিগত অবস্থান থেকে ধূমপানের বিজ্ঞাপন ছাপেনি ভোরের কাগজ। কারণ, ক্ষতিকর পণ্যের প্রচারণায় মানুষের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
বিশ্ব তামাক দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ সভাপতিত্ব করেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈশিতা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতি বিশ্লেষক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলমসহ প্রমুখ।
আরো পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৯৭ শতাংশ সম্পন্ন

ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো নিজ দেশে সিগারেট ব্যবহার কমায়, আর বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে তা বাড়ায়। নতুন ভোক্তা তৈরীতে যত ধরনের অপতৎপরতা আছে সবই করছে তামাক কোম্পানিগুলো। নীতিগত অবস্থানেও তামাক কোম্পানি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে কারণ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে সরকারের সামান্য শেয়ার ও পরিচালনা পর্ষদে সরকারের প্রতিনিধি রয়েছে। আমাদের আইনের ১৮ বছরের নীচে কারো কাছে তামাক বিক্রয় নিষিদ্ধ। সে আইনের বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যারা আইনে দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের সক্রিয়তা নেই।
এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, নাটক, সিনেমা, ওয়েবসিরিজে এমনভাবে ধূমপান দেখানো হচ্ছে যেনো এগুলো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। এর পেছনে তামাক কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা আছে। আমাদের শিশু-কিশোরদের জন্য তারা ফাঁদ তৈরী করছে। দেশে ওটিটি নীতিমালা হচ্ছে সেখানে ধূমপান বন্ধের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈশিতা বলেন, আমাদের মুল ভাবনায় থাকেন শিশুরা। যারা আমাদের ভবিষ্যত। নতুন প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতিকর দিক জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। যারা পরিবার ও সমাজের আইডল, তাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। কারণ শিশু ও অল্পবয়সীরা বইয়ের চাইতে দেখেই শিখে বেশি।
উল্লেখ্য, তামাক বিরোধী সচেতনতার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছরও তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি প্রদিপাদ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে দিবসটি।