সংসদ সদস্য আনারের রাজসাক্ষী গোপাল এখন কোথায়?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১১:২৪ এএম
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতায় প্রথমে ওঠেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। সেখান থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর পর গত ২২ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে আনার খুন হন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি।
আনারের নিখোঁজ নিয়ে ১৮ মে জিডি করেন বরানগরের মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা গোপাল। তবে পরদিন থেকে লাপাত্তা গোপাল, তার কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না গণমাধ্যমকর্মীরা। জানা যায়, স্বর্ণের ব্যবসা সূত্রে এমপি আনারের সঙ্গে ২৫ বছরের বন্ধুত্ব গোপালের।
গোপালের বাড়িতেই এসআরভি নামে তার স্বর্ণের ব্যবসার অফিস। এমপি আনার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এটি বন্ধ। গোপালের প্রতিবেশীরা তার সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। গোপালকে আসামি নয়, রাজসাক্ষী হিসেবে দেখছেন তদন্তকারীরা। তার মাধ্যমেই এ হত্যা রহস্যের প্রাথমিক জট খুলতে সক্ষম হয় সিআইডি।
পুলিশ গোপালের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায়, আনার সেখানে ১২ মে প্রবেশ এবং পরদিন বেরিয়ে যান। গোপালের কাছ থেকেই প্রাথমিকভাবে তাদের ব্যবহৃত গাড়ি, চালক এবং অভিযুক্তদের সম্পর্কে ধারণা পায়।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, বন্ধু হিসেবে আনারের ভারত এবং বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এমনকি শত্রু সম্পর্কেও ভালো জানাশোনা গোপালের। তদন্ত শুরুর পর থেকে প্রয়োজনে সাড়া দেন গোপাল। ফলে তাকে আটক বা হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি পুলিশ। যদিও মৌখিকভাবে তাকে এলাকা ছাড়তে নিষেধ করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, মুখ খুললে তদন্ত-সংক্রান্ত তথ্য বলে দিতে পারেন গোপাল– এমন আশঙ্কা থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে চুপ থাকার পরামর্শ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের শুরু থেকে গোপাল আমাদের সন্দেহের ঊর্ধ্বে ছিলেন না।
তবে তিনি যে ধরনের তথ্য দিয়েছেন, তাতে কোনো ভুল পাইনি। অভিযুক্ত অনেককেই চিনতেন গোপাল। ফলে তদন্ত খুব কম সময়ে দ্রুত এগিয়েছে। এছাড়া সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, শুরু থেকেই সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন গোপাল।
সিআইডি বলছে, আমরা তাকে আড়ালে থাকার পরামর্শ দিইনি। তবে স্বাস্থ্যজনিত কারণে নিজেই কিছুটা আড়ালে আছেন। তার নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হচ্ছে। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা গোপালের নম্বরে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ হয়নি।