বুধবার বাংলাদেশে আসছেন আইএমও মহাসচিব

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৬:২০ পিএম

ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সফরে আসছেন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও এন্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো। পানামার নাগরিক ডোমিনগেজ ভেলাসকো বুধবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছবেন। তিনি আইএমও এর ১০ তম মহাসচিব।
আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশে তার এই সফর আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টরে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে। আইএমওতে বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা আরো বাড়বে। বর্তমানে আইএমওতে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। গতবছরের ১ ডিসেম্বর আইএমও নির্বাহী পরিষদে নির্বাচনে বাংলাদেশ ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য ক্যাটাগরি-‘সি’ তে জয়লাভ করেছে।
ঢাকায় অবস্থানকালে আইএমও মহাসচিব ৩০ মে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন। বিকেলে তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শন করবেন। সেখানে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এন্ড সেইফটি সিস্টেম এন্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)’ প্রকল্পের বিষয়ে তাকে অবহিত করা হবে।
ডোমিনগেজ ৩১ মে সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। সেখানে ভেসেল ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস), মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, সিঙ্গেল বয়া মুরিং ও অন্যান্য বন্দরের ওপর তাকে ব্রিফ করা হবে। মহাসচিব সেদিন বিকেলে চট্টগ্রামে শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন।
পহেলা জুন মহাসচিব চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমী পরিদর্শন করবেন। সেখানে বাংলাদেশে মেরিটাইম শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাঁকে ব্রিফিং করা হবে। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমী, মেরিন ফিশারিজ একাডেমী এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের ক্যাডেটরা চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করবেন। ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ল’ ইনস্টিটিউট এর গ্র্যাজুয়েট ছাত্ররা তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় ফিরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ২ জুন সকালে তিনি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সব নিয়ন্ত্রক আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ১৭৬টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমও-এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত।
বর্তমান মহাসচিব ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আইএমও'র মহাসচিব নির্বাচিত হন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আইএমও’র ৩৩ তম অ্যাসেম্বলিতে সেটি অনুমোদিত হয়। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে তাঁর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।