ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সরাসরি দেখুন গতিপথ (ভিডিও)

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৭:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল অতি প্রবল আকার ধারণ করে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যার পরই ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঝড় ৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ আরো বাড়তে পারে।
মো. আজিজুর রহমান বলেন, ১ নম্বর থেকে নামিয়ে সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরের সব নৌযানকে নিরাপদে তীরে ফিরতে বলা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আজ (২৫ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর আইল্যান্ড অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অংশেই বেশি আঘাত হানবে। উপকূলীয় সব জেলাগুলোতে প্রভাব পড়বে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাতাসের গতি ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হবে। তবে বরিশাল ও নোয়াখালীর দিকে বৃষ্টিপাত বেশি হবে।’
এদিকে শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৫ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।