মামুনুল হক ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যা বললেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে বের হন। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেয়ার জন্য ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিলো। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা আমার মোবাইল ফোনটি নিতে আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলাম।
তবে মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।
আরো পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত সেবা মিলবে ৯৯৯-এ
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক। গত ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।