গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি নয়, এক কোটি গরীব মানুষ: ইউনূস

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০২:০২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি না। আমি এক কোটি গরিব মানুষকে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। তাদের মালিকানা দিয়েছি। আর কেউ তো দেয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আদালত থেকে তিনি জামিন পান।
ড. ইউনূস বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আমি অর্থ আত্মসাৎ করেছি। অর্থ পাচার করেছি। আমি সুদখোর। এরকম ভয়াবহ শব্দ অভিযোগে বলা হয়েছে। এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মত অপরাধ কি না সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেশের জনগণ বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেন, আমি নাকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। আমাকে নাকি পদ্মায় ফেলে চুবানো হবে। এরকম অনেক কটু কথা বড় বড় প্রোগ্রামে বলা হয়েছে। মানুষ কিছুই গ্রহণ করেনি। আজকে যে অভিযোগ এসেছে অর্থ পাচারের, এগুলো সব আগের মতই হয়রানি।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৯ মে আসামি ড. ইউনূস ও নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০৮ তম বোর্ড সভায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের একদিন আগেই ৮ মে খোলা হয় ব্যাংক হিসাবটি। এই হিসাব দেখানো আছে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকম বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটিতে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ না জানিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।
২০২২ সালের ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।