ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা শোক করি, জ্ঞান দেই। কিন্তু দায়িত্বরত সব সংস্থা নিজেদের কাজটা সঠিক ভাবে করলেই কিন্তু বেইলি রোডসহ অতীতে আগুনে যেসব প্রাণহানি ঘটেছে সেগুলো আর দেখতে হতো না। তবে এবার থানা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ সদস্যরাও রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরায় অনিয়মের বিষয়ে নজর রাখছে। 

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন: স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে যিনি বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনিসহ ৪৬ জন নিহত হয়েছে। এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। আসলে আমরা মারা যাওয়ার পরে শোক দেখাই ও কান্না করি। অনেকক্ষেত্রে জ্ঞান দেই। আসলে যার সন্তান মারা যায় সে-ই শোক বোঝেন। আমি বলবো প্রতিটি সংস্থার যে দায়িত্ব আছে সেগুলো আমরা যদি পালন করতাম তাহলে আমার মনে হয় এমন ঘটনা আর ঘটতো না। তাই এখন আমরা প্রতিটি রেস্তোরায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্তোরা আছে কি না যেগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা মানা হচ্ছে না। দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না। কোনো অনিয়ম পেলে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।   

তিনি বলেন, এমন দুর্ঘটনার পেছনে তো গাফিলতি থাকেই। তবে কোনো ঘটনা ঘটার পরে আমরা সেটা (গাফিলতি) খুঁজি। নিয়মকানুন না মেনে যত্রতত্রভাবে ভবন বানানো হচ্ছে। এই সব ভবনের খোঁজ খবর যদি আগে থেকে নিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবাজার, নীমতলি, বনানীর এফ আর টাওয়ারে মতো এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।