রাশেদা কে চৌধুরী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। এ ক্ষেত্রে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের কথাও বলেছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের দুর্বলতা থাকতে পারে। সেগুলোকে কাটাতে হবে। এটা তো চলমান প্রক্রিয়া। ভুল তথ্য দিয়ে ভারতের ভিডিও দিয়ে এর (নতুন শিক্ষাক্রম) বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে না? চিহ্নিত গোষ্ঠী, কোচিং ব্যবসায়ী, উগ্রবাদীরাই এর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাথা খারাপ করে দেয়ার অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম একটা অগ্রসরমুখী। যখন এটা দুই মাসের জন্য ওয়েবসাইটে দেয়া ছিল তখন কেন আপনারা বক্তব্য বা জবাব দেননি। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে প্রয়োজন হলে পরিবর্তন, পরিমার্জন করা যেতে পারে। এখন নানা ভাবে এটা নিয়ে পানি ঘোলা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কোন নীতি বাস্তবায়ন করব, কোন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করব, কোন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করব। হ্যাঁ চলার পথে কিছু পরিবর্তন তো হবেই, পরিবর্তন হবে পরিমার্জন হবে। কিন্তু খোলনলচে কিছুদিন পরপর বদলে ফেলার ফলে আমাদের শিক্ষা খাতে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল সরকারিকরণ করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি টাকা পাচ্ছে। আরেকটু বেশি টাকা খরচ করে এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা যেতে পারে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ থাকবে, যাতে বিষয়টি বিবেচনা করেন।
মূল্যায়ন নিয়ে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, সব জায়গার অবস্থা এক রকম না। কিছু স্কুলে শিক্ষার্থী কম সেখানে মূল্যায়ন করা সহজ, যে স্কুলে শিক্ষার্থী বেশি সেখানে এটা করা কঠিন। তাই পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য বিভিন্ন সমস্যায় শিক্ষকেরা যোগদান করে চলে যান। এটা রোধ করতে হবে। তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থী, শিক্ষক নেতা ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।