ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ BETA VERSION
ভিডিও আর্কাইভ ইউনিকোড কনভার্টার আজকের পত্রিকা ই-পেপার
Logo
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • সারাদেশ
  • খেলা
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • শিক্ষা
  • তথ্যপ্রযুক্তি

সব বিভাগ বিশেষ সংখ্যা ভিডিও আর্কাইভ আজকের পত্রিকা ই-পেপার ইউনিকোড কনভার্টার
Logo

প্রিন্ট: ১৫ মে ২০২৫, ১১:২৮ এএম

আরো পড়ুন

জাতীয়

সাকরাইনের রঙে রঙ্গিন ঢাকার আকাশ

Icon

রকি আহমেদ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম

সাকরাইনের রঙে রঙ্গিন ঢাকার আকাশ

ছবি: ভোরের কাগজ

   

কথিত আছে 'বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকা'। আর তার মধ্যে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য অংশ হচ্ছে পুরান ঢাকা। যার একেক গলির একেক গল্প। বছরের এ সময়টি আসলে এলাকাটির আকাশ ছেয়ে যায় বাহারী রঙয়ের ঘুড়িতে। এবারো হয়েছে তাই। পুরান ঢাকার মানুষ এখন একজন আরেকজনের ঘুড়ি কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে।

কন কনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল ও বিকেলে ঘুড়ির সুতা কাটার  উল্লাসে মাতামাতি আর সন্ধ্যায় আতশবাজি ও আধুনিক সাউন্ডে পুরান ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে এক উৎসবের নগরীতে। হ্যাঁ বলছি ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের কথা। পৌষের শেষ এ দিনটির জন্য বছর জুড়ে অপেক্ষায় থাকে পুরান ঢাকা বাসি। 

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) পুরান ঢাকায় শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবে সর্বত্র এমন চিত্রই দেখা গেছে।

দুই দিনব্যাপী সাকরাইন উৎসবের প্রথমদিনে পুরান ঢাকাবাসীর দিন কাটে ঘুড়ি নিয়ে। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানো আর সুতা কাটার উৎসবে মাতে বালক বালিকা, কিশোর কিশোরীসহ নানা বয়সের মানুষ। আর সন্ধ্যার আয়োজনে থাকে ফানুস আর আলোকসজ্জার সঙ্গে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। ঢাকার আদি অংশে এখন এটাই চলছে। 

পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেণ্ডারিয়া, বাংলাবাজার, ধূপখোলা মাঠ লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন স্থানে জাঁকালো ভাবে সাকরাইন উৎসব পালন হতে দেখা গেছে। এর আগে সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে বেশ কদিন আগে থেকেই এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে চলছিল ঘুড়ি, নাটাই ও সুতা বেচাকেনার ধুম। এছাড়া ছাদে পুরোদমে চলছিলো ঘুড়ির সুতা কাটতে মাঞ্জা দেয়া সুতা শুকানোর কাজ।

জানা যায়, পৌষ মাসের শেষ দিন সাকরাইনে নতুন ধানের চালের পিঠাপুলি খেয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ উৎসব করার রেওয়াজ। পুরান ঢাকার মানুষ এই উৎসব পালন করে আসছে প্রায় ৪০০ বছর ধরে। এখন আর আগের মতো সবার ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি হয় না। ডিজে গান আর বাজি ফুটানোর মতো আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এখনকার সাকরাইনে। তবে এখনো কিছু কিছু ঘরে সে সময়ের রেওয়াজ ধরে পিঠা তৈরি করে। পিঠার সংস্কৃতিটা কমে গেলেও অন্যান্য সংস্কৃতির মতো ঘুড়ি উড়ানোর মতো উৎসবে পিছিয়ে নেই এ প্রজন্মের তরুণরা।

সাকরাইন উৎসব নিয়ে কথা হয় পুরান ঢাকার সুত্রাপুরের আদনান, আল আমিন, রোকাইয়া, সজীব, তৌকির, সুজন, মেহেদি, নামের কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, এই সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ও প্রাণের উৎসব। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই এ উৎসব পালন করে আসছি। আগে এখনকার মতো সাউন্ড সিস্টেমের গান বাজনা ছিল না। তবে সেসময় ছিল অকৃত্রিম আনন্দ আর ভোকাট্টা লোটের আকাশস্পর্শী শব্দ। আগে সাকরাইন উৎসব এলে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হতো। যা এখন অনেকটাই কমে গেছে।

তারা আরো বলেন, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ছোবলে বাংলার প্রাচীন অনেক উৎসবের মতো সাকরাইনও তার জৌলুস হারাতে বসেছে। কমে আসছে সাকরাইন উৎসবের পরিধি। তবে উৎসবের অনুষঙ্গে পরিবর্তন এলেও আমেজ আর আবেগটা এখনো রয়ে গেছে আগের মতোই।

মিরপুর থেকে পুরান ঢাকায় সাকরাইন দেখতে আসা শিহাব হোসেন বলেন, পুরান ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানোর প্রাচীন ঐতিহ্যের সাকরাইন উৎসব সম্পর্কে অনেক শুনেছি। এবার নিজ চোখে দেখতে  আসলাম।  তিনি বলেন, সত্যিই পুরান ঢাকাবাসী অনেক সংস্কৃতি প্রিয়। আজ সারা দিন আকাশে রংবেরং হাজারো ঘুড়ি উড়তে দেখেছি। সন্ধ্যায় আতশবাজি ও লাইটিং সাউন্ডে পুরো পুরান ঢাকা যেন উৎসবের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।

পুরান ঢাকাবাসী থেকে সাকরাইন সম্পর্কে আরো জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদে থাকতো মাইকের আধিপত্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আর আধুনিকতার সংস্পর্শে মাইকের স্থান দখল করেছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। তাছাড়া আগে তরুণদের সঙ্গে ছোট-বড় সব বয়স্ক মানুষকে দেখা যেতো নিজ নিজ বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে। মেয়েদেরকেও দেখা যেত ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠে ঘুড়ি উড়িয়ে সাকরাইন উৎসব উদযাপন করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সাকরাইন উৎসব আমাদের প্রাচীনতম উৎসব। আপনারা লক্ষ্য করেছেন ঢাকার আকাশ আজ ঘুরিতে ছেয়ে গেছে। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণা করবে। তাঁরা সারা বছর ঘুড়ি উড়িয়ে বিনোদন উপভোগ করবে ও সংস্কৃতিকে ধারণ করবে এটা আমরা চাই। ৩০ পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ থেকে আমরা এ উৎসব পালন করছি। ৭৫ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে আমরা এ উৎসব পালন করছি।

ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুরান ঢাকা সাকরাইন উৎসব

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সাবেক মেয়র আতিকুলসহ আ. লীগের ৬ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ নির্ধারণ

সাবেক মেয়র আতিকুলসহ আ. লীগের ৬ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ নির্ধারণ

তৌহিদি জনতাই নয়, বিশৃঙ্খলায় জড়িত সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তৌহিদি জনতাই নয়, বিশৃঙ্খলায় জড়িত সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিএমপিতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের আরো ৩৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

সিএমপিতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের আরো ৩৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

মাছ শিকার: একই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতে নিষেধাজ্ঞা

মাছ শিকার: একই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতে নিষেধাজ্ঞা

করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা

করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা

গণঅভ্যুত্থানে নিহতরা 'জুলাই শহীদ' স্বীকৃতি পাবেন: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

গণঅভ্যুত্থানে নিহতরা 'জুলাই শহীদ' স্বীকৃতি পাবেন: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

সব খবর

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

আমাদের কথা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা

অনুসরণ করুন

BK Family App

২০২৫ ভোরের কাগজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

কর্ণফুলি মিডিয়া পয়েন্ট, ৩য় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ | পিএবিএক্স : ০৯৬১২১১২২০০, ৫৮৩১৬৪৮৩, ৮৩৩১০৭৪, বিজ্ঞাপন : ৫৮৩১৩০১৩, ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-113) সার্কুলেশন : ৫৮৩১৩০১৩, ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-130), ফ্যাক্স : ২২২২২২৭৩৪ | ই-মেইল : bkagojnews@gmail.com, bkagojadvt@gmail.com

অনলাইন: ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-133, 134) | ই-মেইল : bkagojonline@gmail.com