বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: বিএনপি নেতা রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম

রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আরেকজন হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ মনসুর আলম।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে চলন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এসএম নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ট্রেনটি সায়েদাবাদ এলাকা পৌঁছানো মাত্র ট্রেনের ৭৯৩৭ নম্বর কোচের বগি ‘চ’ তে ধোঁয়া দেখে চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। তখন ওই বগিতে ডিউটিতে থাকা মোহাম্মদ আলী আগুন আগুন বলে চিৎকার করে যাত্রীদের সতর্ক হতে বলে এবং টেনের শিকল টেনে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় ভ্যাকুয়াম প্রেস করে ট্রেনটি থামানো হয়।
রাত আনুমানিক ৯টা ২মিনিটের দিকে গোপীবাগ ও গোলাপবাগের মাঝামাঝি জামে মসজিদের সামনে ট্রেনটি থামে। ততক্ষণে আগুন দাউ দাউ করে ‘চ’ বগি থেকে ‘ছ’ বগিতে এবং ‘পাওয়ার কার নম্বর ৭৫২৬ ‘ভ’ বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে ট্রেনে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং জরুরি ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম পাঠানোর অনুরোধ করি।
এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নারীসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১০/১২জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। এছাড়া আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়।